সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে গোপালগঞ্জের অধিক জমিতে বোরো বীজতলা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১০:৪২ পিএম, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩

গোপালগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে বোরো বীজতলা করেছে কৃষক। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলায় বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪ হাজার ২৭.৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। এই বছর কৃষক ৩১৪.৫ হেক্টর জমিতে বেশি বোরো ধানের বীজতলা করেছে।


গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, আমরা এ বছর বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪ হাজার ২৭.৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করি। কৃষক ৪ হাজার ৩৪১ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের বীজতলা করেছে। এ বছর কৃষক ৩১৪.৫ হেক্টর জমিতে বেশি বোরো ধানের বীজতলা করেছে।

তিনি আরো বলেন, এ চারা দিয়ে জেলার ৮০ হাজার ৫৪৬ হেক্টর জমিতে বোরোধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলার ৫ উপজেলায় উৎসবের আমেজে বোরোধান রোপন শুরু হয়েছে।


 অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের সকল অনাবাদি পতিত জমিতে চাষাবাদ করার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন। কোথাও এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি না থাকে-এ নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কৃষকরা বোরোধানের আবাদ বৃদ্ধিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে বীজতলা করেছে। বীজতলা থেকে কৃষক ধানের  চারা তুলে বাজারে বিক্রি করছে। এতে তারা অর্থ পাচ্ছেন। আমরা ধারণা করছি এ বছর প্রধানমন্ত্রীর আহবানের কারণে গোপালগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে বোরোধানের আবাদ হবে।


টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জামাল উদ্দিন বলেন, ধানের চাষাবাদ বৃদ্ধিতে আমরা কৃষককে ধানবীজ ও সার প্রণোদনা হিসেবে দিয়েছি। এর পাশাপাশি তাদের আমরা প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ দিয়েছি। এখন তারা বোরোধান আবাদ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে তারা অধিক ফসল ফলানোর ওপর জোর দিয়েছেন। আনাবাদি ও পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে তারা দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা আশা করছি এবার রেকর্ড পরিমান জমিতে ধানের আবাদ হবে।

 

একুশে সংবাদ.কম/সা’দ

কৃষি বিভাগের আরো খবর