বগুড়ার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতকালীন অন্যান্য সবজির পাশাপাশি বাজারে ফুলকপি প্রচুর আমদানি হয়েছে। দামও চড়া। দাম চড়া হলেও নতুন সবজি হিসেবে অনেকেই কিনছেন। বাজারে প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়।
বগুড়া রাজাবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, বাজারে আগাম ফুলকপি আসা শুরু হয়েছে। দাম একটু বেশি। তবে বাজারে ফুলকপির চাহিদা আছে। নতুন সবজি হিসেবে বিক্রিও ভালো হচ্ছে। আর কিছু দিন পরে আরো বেশি আমদানি হবে। তখন হয়তো দাম অনেকটা কমে যাবে। শীতের সবজি ফুলকপির স্বাদ আলাদা হওয়ার কারণে ক্রেতারা অন্য সবজির পাশাপাশি ফুলকপি বেশি কিনছেন।
তিনি বলেন, পাইকারী বাজারে ফুলকপির সবচেয়ে বড় হাট মহাস্থান হাট। এখান থেকে প্রতিদিন শতশত ট্রাক ফুলকপি দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, বগুড়ার অন্যান্য উপজেলার মধ্যে শিবগঞ্জ, শাজাহানপুর, ধুনট, সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, নন্দীগ্রাম উপজেলা আগাম শীতকালীন সবজির চাষ বেশি হয়। এসব উপজেলার কৃষকরা প্রতি বছর বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করে থাকেন। অন্য আবাদের চেয়ে সবজি চাষে অধিক লাভবান হওয়া যায়। যে কারণে কৃষকরা এখন পতিত বা ফেলে রাখা জমিতেও সবজি চাষ করছেন। ফলে উৎপাদন আগের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।
বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দুলাল হোসেন জানান, এ বছর বগুড়ায় আগামজাতের শীতকালিন সবজি চাষ হয়েছে ২ হাজার ৮’শ হেক্টর জমিতে। যা থেকে আগাম শীতকালিন প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিকটন ফলন পাওয়া যাবে। আগাম শীতকালিন সবজির চাষ আরো বাড়বে। গত বছর ৩ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আগাম সবজি চাষ করেছিলেন চাষিরা।
তা থেকে গত বছর প্রায় ৫৪ হাজার মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যায়। বগুড়ায় চাষকৃত সবজি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হয়ে থাকে। তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবছর প্রচুর শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে। বাজারে ফুলকপির আমদানি প্রতিদিন বাড়ছে।
একুশে সংবাদ/ বা.প্র/ রখ