সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কুমিল্লার লাকসামে মাল্টা চাষে শাহাজাহানের সফলতা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:৫৩ পিএম, ২২ মে, ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার শাহাজাহান গ্রাজুয়েশন করে দুই যুগেরও বেশি সময় বেকারত্ব দুর করে সফলতা আনতে পারেনী। তারপর মাল্টা চাষ করে বেকারত্বকে জয় করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন ও সাহস পেয়েছেন।মাল্টা চাষে তার সফলতা দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন । এক একর জমিতে তিনি মাল্টা চাষ করেন।

সম্প্রতি শরীফের মাল্টা বাগান ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি গাছে পাতার ফাঁকে-ফাঁকে ঝুলছে নজরকাড়া রসালো মাল্টা। প্রতিদিন দূরের ও কাছের অনেকে আসেন শাহাজানের মাল্টা বাগানে। এদের মধ্যে কেউ দর্শণার্থী, কেউ মাল্টা ব্যবসায়ী আবার কেউ মাল্টা চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে আসেন পরামর্শ নিতে।  
শাহাজাহান বলেন, বাড়ির পাশে মাল্টা চাষের জন্যে উপযোগী উঁচু এক একর জমিতে বারী-জাতের ২৫০টি মাল্টার চারা রোপণ করি তিন বছর আগে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে ও সঠিক পরিচর্যায় স্বল্প সময়ের ব্যবধানে গাছ বড় হয়ে মাল্টা ধরতে শুরু করে। সবুজ রঙের এ মাল্টা তুলনামূলক অন্য জাতের মাল্টার চেয়ে রসালো ও স্বাদে বেশ মিষ্টি। ফলে বাজারে এ মাল্টার চাহিদাও বেশি। লাকসামে বাণিজ্যিকভাবে বড় পরিসরে আমিই প্রথম মাল্টা চাষ শুরু করি। পর্যাপ্ত ফলন ও আশানুরূপ বাজার দর পাওয়ায় একদিকে যেমন বেকারত্ব থেকে মুক্তি মিলেছে অন্যদিকে সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা। পাশাপাশি আরো এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মাল্টা চাষের পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা করছি।  

এ বিষয়ে লাকসাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরীফুজ্জামান বলেন, মাল্টা চারা রোপণের দুই থেকে তিন বছরের মধ্যেই ফল পাওয়া শুরু হয়। এই এলাকার মাটি ও আবহাওয়া মাল্টা চাষের জন্য যথেষ্ট উপযোগী। শুরু থেকেই কৃষি বিভাগ মাল্টা চাষি শাহজাহানকে পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে। 

 

 

একুশে সংবাদ/বা.স.স/রখ

কৃষি বিভাগের আরো খবর