সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কচুর বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছে লালমাই পাহাড়ের কৃষকরা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:০৪ পিএম, ১১ মে, ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান। কুমিল্লা আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ ও বরুড়া উপজেলা জুড়ে এ লালমাই পাহাড় অবস্থিত। আর এ লালমাই পাহাড়ের বুকে বিভিন্ন শাক-সবজি, ফল-মূল ইত্যাদি উৎপাদন হয়ে আসছে। লালমাই পাহাড়ের আদি অধিবাসীদের একমাত্র প্রধান পেশা হলো কচু চাষ করা। চলতি বছরে আগাম বৃষ্টির কারণে লালমাই পাহাড়ে কচুর বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছে কৃষকরা। 

একজন চাষি আগে থেকে বুঝতে পারেন কোন বছর তাদের বাম্পার ফলন হবে। যে বছর বৃষ্টি বেশী হবে, সেই বছর কচুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকে। চারা বপনের সময় প্রথমে কৃষকরা পাহাড়ের মাটি কেটে বীজ বপনের জন্য প্রস্তুত করে। তারপর বীজ বপনের কাজ শুরু হয়। প্রতি শতকে উৎপাদন খরচ হয় ৮০০-১০০০ টাকা। আর তা বিক্রি করা হয় ১২০০-১৫০০ টাকা। শতকে উৎপাদন হয়ে থাকে ৩-৪ মণ। কৃষকরা এ পেশার অর্থ উপার্জন দিয়ে সংসার, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া ও ভরণ পোষণ করে থাকেন।

সদর দক্ষিন উপজেলা কৃষি অফিসারের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, চলতি বছর ৪০ হেক্টর জমিতে কচু উৎপাদন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রতি হেক্টর জমিতে কচুর উৎপাদন হবে ২০ টন। ৪০ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হবে ৮০০ টন। এক সময় এ লালমাই পাহাড়ের কচু দেশের চাহিদা মিঠিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হতো।

লালমাই পাহাড়ের কৃষক রমিজ উদ্দিন জানান, পাহাড়ে সেচ দেওয়ার কোন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির উপর আমাদের নির্ভর করে থাকতে হয়। যেহেতু এ বছর আগাম বৃষ্টি হয়েছে তাই আমরা বেশী ফলনের আশা করতে পারি। কৃষক হরিচন্দ্র পাল জানান, আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত যদি অনুকূলে থাকে তাহলে এবার বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, আমরা পাহাড়ের অধিবাসী কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি যাতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পাহাড়ে কচু চাষে বিপ্লব ঘটে।

একুশে সংবাদ/ব.স.স/রখ
 

কৃষি বিভাগের আরো খবর