সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঘুরে আসুন রাজস্থানের রাজপ্রাসাদ থেকে

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৮:১৫ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

রাজস্থান মরুপ্রদেশ হলেও ভ্রমণপিপাসুদের কাছে ভারতের এ অঞ্ঝলটি বেশ আকর্ষণীয়। অসংখ্য ছোট বড় রাজপ্রাসাদ, স্মৃতিসৌধ আর কেল্লা এই আকর্ষণের অন্যতম কারণ। এছাড়াও দেখার মতো আছে আজমির, মাউন্ট আবু, যোধপুর, বিকানীল জয়সলমীর, বারমিরসহ ঐতিহাসিক স্থাপনা। ফলে বছরজুড়েই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসুরা ঘুরতে আসেন এ অঞ্ঝলে।

 

উত্তর ভারতে অবস্থিত রাজস্থানে ঘুরতে আসলে কি দেখবেন, কি খাবেন, সেসব নিয়েই এ আয়োজন-

 

রাজস্থানের মাউন্ট আবুতে দেখার মতো রয়েছে আকর্ষণীয় অনেক স্থান। এর মধ্যে অন্যতম ‌‘নাকি হ্রদ’। পাহাড় ভ্রমণের পাশাপাশি হ্রদটির মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখে যে কারও তৃপ্তি মিটবে। চাইলে হ্রদে নৌকাযোগে ঘোরাঘুরিও কর যাবে। এছাড়া পাহাড়ি এলাকাটিতে দিলওয়ারা মন্দির রয়েছে। এটি জৈন ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় হিসেবে পরিচিত। দ্বাদশ শতাব্দীতে এটি নির্মিত হয়।

 

বিকানার শহরে রয়েছে বেশ কয়েকটি রাজকীয় প্রাসাদ, ঐতিহাসিক দুর্গ এবং একটি উট বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র। এখানকার খাবার-দাবারের সুনামও রয়েছে। অনেকেই এখানকার খাবার খেতে আসেন। এছাড়া ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত জুনাগড় দুর্গ ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত। এখন এটি মিউজিয়াম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বন্ধের দিনগুলোতে এতে সাধারণ মানুষের ভিড় লেগেই থাকে।

 

বেরাক নদীর তীরে অবস্থিত চিতোরগড় রাজস্থানের অন্যতম জনপ্রিয় স্থান। সপ্তদশ শতাব্দীতে নির্মিত চিতোরগড় দুর্গ ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বড় দুর্গ হিসেবে পরিচিত। এছাড়া পঞ্চদশ শতাব্দীতে ভিক্টোরি টাওয়ার, রানাকুম্ভের প্রাসাদ এবং মীরা মন্দির উল্লেখযোগ্য। মীরা মন্দিরে স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নিয়মিত বিষ্ণুর পূজা করেন।

 

রাজস্থান প্রদেশের আরেকটি আকর্ষণীয় শহর বুন্ডি। এটি দেয়ালের শহর হিসেবেও পরিচিত। বুন্ডি শহরে ৫০টি স্টেপ ওয়ালের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত কুইন্স স্টেপ ওয়াল। এছাড়া শহরটিতে ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত তারাগড় দুর্গে দেশি ও বিদেশি সব বয়সের পর্যটক ভ্রমণ করেন।

 

রাজস্থানের পবিত্র শহর হলো পুশকার। এখানে ব্রাহ্ম মন্দির রয়েছে। স্থানীয় ব্রাহ্ম ধর্মাবলম্বীরা মন্দিরটিতে নিয়মিত উপাসনা করেন। এছাড়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিষ্ণু, সাবিত্রী ও শিব মন্দিরও রয়েছে শহরটিতে। হিন্দুরা এখানে প্রায়ই তীর্থযাত্রা করেন। দুই ধর্মের মানুষের কাছে এটি পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত।

 

থার মরুভূমিতে অবস্থিত যোধপুর। একে নীল শহর হিসেবেও অনেকে অভিহিত করেন। পঞ্চদশ শতাব্দীতে মেহরাংগড় দুর্গ এখানকার সবচেয়ে উঁচু দুর্গ। এছাড়া চামুন্ডা মাতাজি মন্দিরসহ আরও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে।

 

একুশে সংবাদ.কম/ঢা/বি.এস

পর্যটন বিভাগের আরো খবর