সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

যা দেখবেন দিল্লির লাল কেল্লায়

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:১৪ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

রাজনৈতিকভাবে ও ঐতিহাসিকভাবে ভারতের রাজধানী দিল্লির অভিজাত ভবন হলো লাল কেল্লা। লম্বা লম্বা দেয়ালের জন্য বিশ্বে এটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে। দিল্লি শহর থেকে দুর্গটির দূরত্ব ২ কিলোমিটার। লাল পাথরের তৈরি বলে একে লাল কেল্লা হিসেবে অভিহিত করা হয়। সপ্তদশ শতাব্দীতে মুঘল সম্রাট শাহজাহানের শাসনামলে দুর্গটি নির্মাণ করা হয়। মুঘল সাম্রাজ্যের কেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় এখান থেকে সাম্রাজ্যের সবকিছু তদারকি করা হতো। মুঘল ও পারস্যের স্থাপত্যের কীর্তি এটি। 

 

কখন যাবেন?

গ্রীষ্মকালে দিল্লি শহরে প্রচণ্ড গরম পড়ে। অত্যধিক গরমের কারণে এসময় লাল কেল্লায় ভ্রমণের সিদ্ধান্ত না নেয়াই প্রীতিকর। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে অতিরিক্ত গরম পড়ার কারণে এসময় দিল্লির তাপমাত্রা বেশি থাকে। তাই মৌসুমী সময়ে লাল কেল্লায় ভ্রমণ করা উচিত। অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অনেকে এখানে ভ্রমণ করেন। অনেক বাংলাদেশি পর্যটকও লাল কেল্লা ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন। তবে মাঝেমধ্যে শীতকালে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকার কারণে এসময়েও সেখানে ভ্রমণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হয়। 

 

কীভাবে যাবেন?

শহরের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত এই দুর্গ। বাংলাদেশি পর্যটকরা সহজেই দিল্লি শহরে অবস্থিত শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে মেট্রো রেলযোগে লাল কেল্লায় যেতে পারেন। চাঁদনী চক রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে সহজেই দুর্গে যাওয়া সম্ভব। সেখান থেকে ১০ মিনিটে হেঁটে যাওয়ার পথ রয়েছে। এছাড়া দিল্লি শহর থেকে বাসযোগেও লাল কেল্লায় পৌঁছা সম্ভব। 

 

রেস্তোরাঁ

লাল কেল্লার আশেপাশে কিছু রেস্তোরাঁ রয়েছে। এসব রেস্তোরাঁয় অনেক সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। ইন্ডিয়ান অ্যাকসেন্ট, ভার্ক, লা কুয়ান বাজার, বুখারাসহ আরও অনেক রেস্তোরাঁয় বিভিন্ন ধরণের খাবার পাওয়া যায়। 

 

আকর্ষণীয় স্থান

লাল কেল্লা ছাড়া আরও যেসব দর্শনীয় স্থানে পর্যটকরা ভ্রমণ করেন সেসব স্থান হলো শিখ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় গুরুদুয়ারা বাংলা সাহেব, আগ্রাসেন বাওলি, জামে মসজিদ, দিলি হাত ও ইন্ডিয়া গেইট। বিশেষ করে ভারতীয় দেশপ্রেমিকদের জন্য ইন্ডিয়া গেইট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ স্থান। হাতে সময় নিয়ে ভ্রমণ করে অনায়াসে এসব দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণ করা সম্ভব।

 

জেনে রাখুন

১. লাল কেল্লা সোমবার ছাড়া প্রতিদিন খোলে সকাল সাড়ে ৯ টায় এবং বন্ধ হয় বিকেল সাড়ে চারটায়।

২. ভারতীয় নাগরিকের জন্য প্রবেশের মূল্য ১০ রুপি এবং বিদেশি নাগরিকের জন্য ২৫০ রুপি।

৩. শুক্রবার বিনামূল্যে প্রবেশ করা যায়। 

 

একুশে সংবাদ.কম/ঢা/বি.এস

পর্যটন বিভাগের আরো খবর