সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ ‍‍`তুয়ারি মাইরাং ঝর্ণা‍‍`

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:৪৩ পিএম, ২২ নভেম্বর, ২০২০
তুয়ারি মাইরাং ঝর্ণা

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় খোঁজ মিলেছে প্রায় শতফুট উঁচু এক ঝর্ণার। ঝর্ণাটির নাম 'তুয়ারি মাইরাং'।ত্রিপুরা ভাষায় 'তুয়ারি মাইরাং' শব্দের অর্থ-থালার আকৃতি।

অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ হতে পারে, 'তুয়ারি মাইরাং' ঝর্ণা।  

লোকালয় থেকে হেঁটে ঝরনায় পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ১ ঘণ্টা। লোকালয়ের পথের দু'পাশে চোখ জুড়ানো সবুজ জুম যা দেখে মন জুরিয়ে যায়। সাথে মন ভরাবে বন্যপ্রাণী থেকে জুমের ফসল বাঁচাতে জুমিয়াদের বানানো ছোট ছোট জুমঘরও।

যাত্রাপথে চোখে পড়বে পাথর খণ্ড বেয়ে নামা পানির স্রোত। উঁচু পাহাড় আর গভীর অরণ্যের কারণে ঝিরি পর্যন্ত সূর্যের আলো পৌঁছায় না বলে, পাওয়া যায় গা ছমছমে পরিবেশের রোমাঞ্চ। 

কোন কোন স্থানে পাহাড় থেকে নামতে হয় প্রাকৃতিক লতা বেয়ে। হাঁটতে হয় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি ঝিরিতে। আর এতো সব অনন্য অভিজ্ঞতা পেরিয়ে অবশেষে দেখা মিলবে 'তুয়ারি মাইরাং' ঝর্ণার।

ঝর্ণার নিচে থাকা থালার মতো দেখতে পাথরের কারণে এমন নাম হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের। দৃষ্টিনন্দন এ ঝর্ণায় পৌঁছানোর রাস্তা বেশ দুর্গম। স্থানীয়রা বলছেন, অবকাঠামো উন্নয়ন করা গেলে এখানে লোকসমাগম বাড়বে। বাইরে থেকে আসা পর্যটকদের গাইড সুবিধা দিতে প্রস্তুত স্থানীয়রা।

'তুয়ারি মাইরাং' ছাড়াও দীঘিনালায় রয়েছে তৈদুছড়া ঝর্ণা, বাঁদুড় গুহাসহ বেশ কিছু পর্যটনকেন্দ্র। তবে দুর্গম যোগাযোগব্যবস্থার কারণে সেসব জায়গায় অনেক কম পর্যটক যেতে পারেন। পর্যটন শিল্প বিকাশে প্রকৃতির কোন ক্ষতি না করেই অবকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

একুশে সংবাদ/ইন/ এস.এস
 

পর্যটন বিভাগের আরো খবর