সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

প্রথম ম্যাচেই পুরনো দলের মুখোমুখি হার্দিক!

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৭:৪৮ পিএম, ৫ মার্চ, ২০২৪

ঠিক যেখান থেকে তাঁর ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল, ফের সেখানেই ফিরে গিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ দুই বছর পর মূম্বাই ইন্ডিয়ান্সে ফিরেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। শুধু তাই নয়, এবার তাঁকে অধিনায়ক করেছে মুম্বাই। ঘরের ছেলে ঘরে ফেরায় খুশি সমর্থকরাও। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সাফল্যের পিছনে হার্দিকের অবদান রয়েছেই। তবে এই অলরাউন্ডার ২০২২ এবং ২০২৩ মৌসুম তিনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে ছিলেন না। তিনি গুজরাটের হয়ে খেলেন। এমনকী অধিনায়ক হার্দিকের জন্ম দেয় গুজরাটই। প্রথমবার খেলতে নেমে চ্যাম্পিয়ন হয় গুজরাট টাইটান্স। হার্দিকের নেতৃত্বাধীন দল দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে। 

সেই হার্দিককেই ভরতীয় টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করা হয়। কিন্তু তিনি ভারতীয় দলের বাইরে রয়েছেন। কারণ বিশ্বকাপ চলাকালীন তাঁর বল করতে গিয়ে চোট লাগে। তারপর থেকে ভারতীয় দলের বাইরেই রয়েছেন তিনি। সেই হার্দিককেই দলে ফিরিয়েছে মুম্বাই। ঘরের ছেলেকে ঘরে ফিরিয়ে যেমন খুশি মুম্বাই ফ্র্যাঞ্চাইজি, ঠিক তেমনই হার্দিকও মুখিয়ে রয়েছেন মাঠে নামতে। ইতিমধ্যেই তিনি স্টার স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হার্দিক জানিয়েছেন, তিনি মুম্বাইয়ের সমর্থকদের থেকে এতো ভালোবাসা পেয়েছেন, যা আর কোথাও পাননি। শুধু তাই নয়, তিনি এও বলছেন, তাঁর সেরা মুহূর্ত কাটানো ২০১৫ আইপিএল চ্যাম্পিয়ন। ২০২৩ ফাইনালকে তিনি এগিয়ে রাখছেন না।

এবার হার্দিকের নেতৃত্বাধীন দল মুম্বাই এবারের আইপিএলে প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হচ্ছে গুজরাট টাইটানসের। পুরনো দলের বিরুদ্ধে নামার আগে হার্দিক বলেন, ‍‍`দুই বছপ পর আমি ফিরে এসে মনে হচ্ছে, ঘরে ফিরে এসেছি। আমার মনে পড়ে যাচ্ছে পুরনো দিনের কথা। বরোদা থেকে মুম্বাই, আমাকে অনেক কিছু শিখতে হয়েছে। এই শহর আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারতীয় দলে সুযোগ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স থেকেই আমি পেয়েছি। মুম্বাই সবসময় আরও ভাল করার চ্যালেঞ্জ জানায়। এখন আমি ২ বছর পর ঘরে ফিরেছি। সত্যি খুব ভালো লাগছে। নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত আমি।‍‍`

হার্দিক আরও বলেন, ‍‍`২০১৫ সালের আইপিএলের কথা মনে করি তখন অনেক কিছু মনে পড়ে যায়। ওই বছরটা আমার কেরিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের মধ্যে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল। এত বড় মঞ্চে এত প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেলে জীবন বদলে যায়। আমি যথেষ্ট ভাগ্যবান যে আমি নকআউট ম্যাচগুলিতে আরও বড় আকারে অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছি। গুরুত্বপূর্ণ নকআউট ম্যাচে দুটি ‍‍`ম্যান অফ দ্য ম্যাচ‍‍` পুরস্কার জিতেছি। এটি আমার জন্য একটি অসাধারণ মুহূর্ত।‍‍`
একুশে সংবাদ/এস কে

খেলাধুলা বিভাগের আরো খবর