সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সপ্তমবার ব্যালন ডি আরের স্বর্গে মেসি

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৭:০৪ এএম, ৩০ নভেম্বর, ২০২১

ক্লাব ফুটবলে গেল মৌসুমটা খুব ভালো না কাটলেও জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘ শূন্যতা ঘোচানোর মাঝেই অসাধারণ পারফলম্যান্স করেছেন লিওনেল মেসি। বর্ষসেরা ফুটবলারের লড়াইয়ে এগিয়ে যান অনেকটা। মিলে গেল তার স্বীকৃতিও। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০২১ সালের ব্যালন ডি’অর জিতে নিলেন আর্জেন্টাইন তারকা।

সোমবার রাতে প্যারিসে জমকালো অনুষ্ঠানে মেসির হাতে তুলে দেওয়া হয় ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’ –এর পুরস্কার, ব্যালন ডি’অর ২০২১। বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জয়ের রেকর্ডটা আগে থেকেই মেসির। সংখ্যাটাকে আরও বাড়িয়ে নিলেন এই মহাতারকা। রেকর্ড সাতবার, যেন সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে! দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার পুরস্কারটি জিতেছেন আগামী ফেব্রুয়ারিতে ৩৭ বছরে পা দিতে যাওয়া ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।

এখনও খেলছেন এমন ফুটবলারদের মধ্যে পুরস্কারটি আর জিতেছেন কেবল ৩৬ বছর বয়সী লুকা মদ্রিচ, একবার ২০১৮ সালে। আগের ছয়বার মেসি এই পুরস্কার জিতেছেন-২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫ ও ২০১৯ সালে। আগের ছয়বারই এই স্বীকৃতি তিনি পেয়েছেন বার্সেলোনায় থাকাকালীন।

বার্সেলোনার সঙ্গে দীর্ঘ ২১ বছরের সম্পর্ক শেষে গত অগাস্টে পিএসজিতে যোগ দেন মেসি। কাতালান ক্লাবটিতে বিদায়ী মৌসুমটা তার খুব ভালো কাটেনি। তবে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে তিনি বরাবরের মতোই ছিলেন উজ্জ্বল। লা লিগায় সর্বোচ্চ ৩০ গোল করে রেকর্ড অষ্টমবারের মতো জেতেন পিচিচি ট্রফি। আর কোপা দেল রের ফাইনালে আথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানে জয়ে জোড়া গোল করেন তিনি।

গত জুলাইয়ে ব্রাজিলকে তাদের মাঠেই হারিয়ে আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকা জয়ে নেতৃত্ব দেন মেসি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে দেশের ২৮ বছরের শিরোপা খরা কাটানোর মিশনে চার গোল করে ও পাঁচটি করিয়ে সামনে থেকে পথ দেখান তিনি। আসরে ব্রাজিলের নেইমারের সঙ্গে যৌথভাবে সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন ৩৪ বছর বয়সী তারকা।

উল্লেখ্য’১৯৫৬ সাল থেকে ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়কে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দেওয়া চালু হয়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত পুরস্কারটি শুধু ইউরোপের খেলোয়াড়দেরই দেওয়া হতো। এর পর থেকে ইউরোপে খেলা বিশ্বের যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্য পুরস্কারটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আর ২০০৭ সাল থেকে কেবল ইউরোপের সেরা নয়, পুরস্কারটি দেওয়া শুরু হয় বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে।

ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার আর ফ্রান্স ফুটবলের ব্যালন ডি’অর একীভূত হয়েছিল ২০১০ সালে। ফিফার সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় ২০১৬ সাল থেকে আবার একাই ব্যালন ডি’অর দেওয়া শুরু করে ফ্রান্স ফুটবল। আর ব্যালন ডি’অর জয়ী নির্ধারণ করা হয় সাংবাদিকদের ভোটে।

একুশে সংবাদ/এসএস

খেলাধুলা বিভাগের আরো খবর