সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ভাঙ্গা গোলচত্বর আধুনিকায়নে নেই জনদুর্ভোগ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১০:১৯ এএম, ১৬ জুলাই, ২০২১

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার ফল ফরিদপুরের আধুনিক ভাঙ্গা গোলচত্বর । চত্বর সংযোগসড়কগুলো আধুনিকায়নের ফলে একেবারেই নেই যাত্রী দুর্ভোগ। বরং অল্পসময়ের মধ্যেই পরিবহনগুলো যেতে পারছে গন্তব্যে। 

জানা যায়, ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা মোড়সহ সংযোগসড়কগুলো একসময় ছিল ধুলো-বালিতে আচ্ছন্ন। আর বর্ষাকালে থাকতো কর্দমাক্ত।  এ কারণে এই মোড় পাড় হতে লাগতো দীর্ঘসময়। ফলে দেখা দিত তীব্র যানযট। যার কারণে যাত্রীদের পরতে হতো চরম দুর্ভোগে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ভাঙ্গা আধুনিক গোলচত্তর ও উন্নত সড়ক নির্মিত হওয়ায় কোন দুর্ভোগ ছাড়াই যাত্রীরা সহজেই যাতায়াত করতে পারছে। নির্দিষ্ট লেন ধরে গাড়িগুলো স্বল্পসময়ে যেতে পারছে গন্তব্যে।

ভাঙ্গা গোলচত্বরের সাথে যুক্ত হয়েছে ৪টি সড়ক। প্রত্যেকটি সড়কে রয়েছে ৪টি করে লেন। উত্তর দিকের সড়কটি ফরিদপুর জেলা শহর হয়ে দৌলতদিয়া পাড় হয়ে ঢাকার সাথে যুক্ত হয়েছে। পশ্চিম দিকের সড়কটি খুলনা-বাগেরহাট-যশোর হয়ে বেনাপোলের সাথে মিশেছে। দক্ষিণ দিকের সড়কটি মাদারীপুর হয়ে চলে গেছে বরিশাল। আর পূর্বদিকের সড়কটি পদ্মাসেতুর সাথে যুক্ত হয়েছে। পদ্মাসেতু চালু হলে সড়কটি মিলিত হবে ঢাকার সাথে।

ভাঙ্গা গোলচত্বরের পার্শ্ববর্তী এলাকার পারভেজ মাহমুদ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের প্রত্যাশা ছিল এখানে আধুনিক চত্বর ও মহাসড়ক হোক, যেটি এখন পূর্ণ হয়েছে। আমরা সহজেই যেকোন স্থানে সহজেই যাতায়াত করতে পারছি। তাছাড়া এখানে ব্যবসায়-বানিজ্যেরও উন্নতি হচ্ছে।

খুলনাগামী রিপন নামে এক যাত্রী জানায়, আগে এ গোলচত্তর পাড় হতে দীর্ঘসময় লাগতো। ধুলো-বালিতে যাত্রীরা অসুস্থ হয়ে যেত। কিন্তু গোলচত্তর ও মহাসড়কগুলো উন্নত হওয়ায় যাত্রীরা সহজেই যাতায়াত করতে পারছে। আমরা এতে খুবই আনন্দিত।


গোলচত্বরের সংযোগ সড়কগুলোর লেন ধরে কোন প্রকার যানযট ছাড়াই পরিবহনগুলো অল্প সময়েই নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছাতে পারছে। এই এলাকায় আধুনিকতার ছোঁয়া পাওয়ায় শুধু ভাঙ্গা নয়, এর আশপাশের অঞ্চলগুলোর অর্থনীতিতে আসতে শুরু করেছে ব্যাপক পরিবর্তন।

 

একুশে সংবাদ /এসএম

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের আরো খবর