সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বিএনপি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল: তথ্যমন্ত্রী

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৮:৩৪ পিএম, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি শ্লোগান দেন ‘ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, ধর্ম যার যার উৎসব সবার’। আমাদের এই দেশ হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সকলের সম্মিলিত রক্তস্রোতে এদেশ অর্জিত হয়েছে।

 

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকল ধর্মের মানুষ জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য একসঙ্গে লড়াই করেছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে নষ্ট করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশেকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল বিএনপি।  

 

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার শ্রী শ্রী শিকল গৌরাঙ্গ মন্দির ও সেবাশ্রমের উদ্যোগ ৪৯তম উত্তরায় মহোৎসব উপলক্ষে ধর্মীয় মহাসম্মেলন, গুণীজন সংবর্ধনা, স্মৃতিচারণ এবং সমাজসেবা কার্যক্রম অনুষ্ঠানে  ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি‍‍’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা দীর্ঘ ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিলাম। রাষ্ট্রের মূল চেতনা নষ্ট করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর যে চেতনার নেতৃত্বে দেশ রচিত হয়েছিল, যে চেতনার জন্য আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা এনেছিল, সেই চেতনা ফিরিয়ে আনার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা কাজ করেছিল। আবার মাঝখানের ৭ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল কারণ খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় এসেছিল। দেশের মূল চেতনা ফিরিয়ে আনার কাজ প্রধানমন্ত্রী শুরু করেছিল সেটি আবার নষ্ট করা হয়। গত ১৪ বছরে আমরা যে চেতনার ভিত্তিতে দেশ রচিত হয়েছে তা ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করছি। আপনারা দেখছেন প্রতিবছর দেশে উৎসবের মাত্রা বাড়ছে। দূর্গাপূজা ও পূজা মন্ডপের সংখ্যা বাড়ছে। যার কারণ হচ্ছে মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনা ও মানুষের সামর্থ বেড়েছে। সরকার একদিকে নিরাপত্তা দিচ্ছে অন্যদিকে নানাভাবে সহায়তা দিচ্ছে। না হলে এটা সম্ভব হতোনা।

 

তিনি বলেন, আমাদের রাঙ্গুনিয়ায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি সবসময় কাজ করেছে। আমার গ্রাম সূখবিলাসে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকলে রয়েছে। আমাদের গ্রামে মগ আছে মারমা আছে। আমরা সবাই মিলেমিশে একাকার পুরো রাঙ্গুনিয়া জুড়ে।  আমাদের রাঙ্গুনিয়ায় যেভাবে শান্তি শৃঙ্খলা কাজ বিরাজ করছে সেটি যাতে কেউ নষ্ট করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

 

ড.হাসান বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। এক বছরের কম সময়ের মধ্যে নির্বাচন হবে। আমি বিগত ১৪ বছর ধরে যে আমাকে ভোট দিয়েছে আর যে ভোট দেয়নি তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য না রাখার চেষ্ঠা করেছি। সব দল ও মতের মানুষের জন্য আমার দুয়ার খোলা রেখেছি। যারা আমার বিরুদ্ধে ছিল, আমার বিপক্ষে মাইকিং করেছে, আমি তাদেরও উপকার করেছি। আমি যেমন আপনাদের জন্য দুয়ার খোলা রেখেছি, আপনারাও আমার জন্য আপনাদের দুয়ার খোলা রাখবেন।

 

মহোৎসব কমিটির সভাপতি লাবলু দাশের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রণব কুমার দে, সহ-সভাপতি শুভংকর দাশ সাবু, যুগ্ম সম্পাদক সজীব দাশ গুপ্তের যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের জোনাল ম্যানেজার মণি লাল দাশ, উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান এডভোকেট আয়েশা আক্তার, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি ওবাইদুল ইসলাম,  দিপেন সাহা, রঘুনাথ মজুমদার, রাঙ্গুনিয়া পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শেখর বিশ্বাস, মহোৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস মালাকার, স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল কবির, খোরশেদ আলম প্রমুখ।

 

অনুষ্ঠানে গীতা প্রতিযোগিতায় বিজদের হাতে পুরষ্কার প্রদান ও দরদ্র এক ব্যক্তিকে সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়।

 

একুশে সংবাদ/মু.তৈ.ই.প্রতি/এসএপি

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর