সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ট্রেড ইউনিয়নের মাধ্যমে শ্রমিকের সমস্যা সমাধান করতে হবে: আতিকুর রহমান

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:৪৭ পিএম, ১৫ জুলাই, ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান বলেছেন, দেশের শ্রমজীবী মানুষরা নানা ধরনের সমস্যায় জর্জরিত। শ্রমিকের সমস্যা তুলে ধরার জন্য কেউ কথা বলে না। শ্রমিকের সমস্যা সমাধান করতে হলে ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দকে সোচ্চার হতে হবে। মিছিল-মিটিংসহ ট্রেড ইউনিয়নের যাবতীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে শ্রমিকের সমস্যা সমাধান করতে হবে।

শুক্রবার (১৫ জুলাই) বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন হবিগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত মাধবপুর উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন (মৌল-২১) ও মাধবপুর উপজেলা রিকশা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন (মৌল-৩৭)-এর উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি কাজী আব্দুর রউফ বাহার-এর সভাপতিত্বে ও মাধবপুর উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রেজা-এর সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন মাধবপুর উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ নায়েবুল্লাহ, মাধবপুর উপজেলা রিকশা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ ট্রেড ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

আতিকুর রহমান বলেন, দেশের মোট জন সংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ শ্রমিক। শ্রমিকরা নানামুখী পেশায় নিয়োজিত। শ্রম আইনে বিভিন্ন পেশার শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ রাখা হলেও ট্রেড ইউনিয়নের নিবন্ধন করতে শ্রমিকদের নানামুখী প্রতিবন্ধকতার মুখামুখী হতে হয়। নির্মাণ শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ দিলেও শ্রম আইনে তাদের সুযোগ-সুবিধা বা অধিকার নিয়ে কিছু বলা নেই। ফলে নির্মাণ শ্রমিকরা অনেক সমস্যায় জর্জরিত থাকলেও কাগজে কলমে এসব সমস্যা সমাধানের জন্য কোন নীতি নেই। যে সব পেশায় ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ শ্রম আইন করে দিয়েছে সেখানেও রয়েছে নানামুখী বাধা-বিপত্তি। মালিকরা চায় না তাদের কল-কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা হোক। যারা ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ গ্রহণ করে তাদেরকে বিভিন্ন অজুহাতে মালিকরা চাকরিচ্যুত করে। ফলে পেটের দায়ে শ্রমিকরা ট্রেড ইউনিয়ন করতে চায় না। ট্রেড ইউনিয়ন না থাকার সুবাদে মালিকরা নিজেদের খেয়াল খুশিমত শ্রমিকদের বেতন-ভাতা প্রদান করে। শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধার দাবিতে কথা বলতে পারে না। তারা মুখ বুঝে সব সহ্য করে যায়।

 

 

 

একুশে সংবাদ/এস.আই

জাতীয় বিভাগের আরো খবর