সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ইউক্রেনকে হামলায় যুক্তরাষ্ট্র উৎসাহিত করছে , রাশিয়ার অভিযোগ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১০:০৯ এএম, ৩১ মে, ২০২৩

রাশিয়ার রাজধানীতে ড্রোন দিয়ে হামলার চেষ্টার পর বেশ নড়েচেড়ে বসেছে মস্কো। দেশটির দাবি, রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলায় ইউক্রেনকে উৎসাহিত করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে ওই হামলার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনকে দায়ী করেছিলেন।

 

বুধবার (৩১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার মস্কোর বেশ কয়েকটি এলাকায় ড্রোন হামলাকে প্রকাশ্যে উপেক্ষা করে ওয়াশিংটন (এই ধরনের কাজে) কিয়েভকে উৎসাহিত করছে বলে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বুধবার বলেছেন।

 

অবশ্য হোয়াইট হাউস বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলাকে সমর্থন করে না। যুক্তরাষ্ট্র এখনও মস্কোতে হওয়া ড্রোন হামলার তথ্য সংগ্রহ করছে বলেও জানানো হয়েছে। তবে মঙ্গলবারের ওই হামলাকে মস্কোকে ভয় দেখানো এবং উস্কানি দেওয়ার প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।

 

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনোভ বার্তা চ্যানেল টেলিগ্রামে প্রকাশিত মন্তব্যে বলেছেন, ‘তারা ‘তথ্য সংগ্রহ করছে’ এই বাক্যাংশটির আড়ালে কী লুকানোর চেষ্টা করছে? এটি ইউক্রেনীয় সন্ত্রাসীদের জন্য কেবল একটি উৎসাহ।’


এদিকে মঙ্গলবার মস্কোতে ড্রোন হামলাকে সন্ত্রাসী কাজ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। অন্যদিকে ইউক্রেনও ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বোমা হামলার জন্য রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে, যদিও মস্কো এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে বরাবরই।

 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির একজন সহকারী মস্কোতে ড্রোন হামলার সাথে কিয়েভের সরাসরি জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, ইউক্রেন এই ধরনের হামলার দৃশ্য দেখাকে উপভোগ করছে এবং আরও হামলা আসতে চলেছে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করছে।

 

এদিকে পৃথক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার ক্রাসনোদর অঞ্চলে আফিপস্কি তেল শোধনাগারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া এই আগুন সম্ভবত ড্রোন হামলার কারণে ঘটেছে বলে সেখানকার গভর্নর বুধবার জানিয়েছেন।

 

অবশ্য অগ্নিকাণ্ডের পর খুব দ্রুতই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয় এবং কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে গভর্নর ভেনিয়ামিন কন্ড্রাতিয়েভ বলেছেন।

 

রয়টার্স বলছে, আফিপস্কি তেল শোধনাগারটি ক্রাসনোদারের নভোরোসিস্কের কৃষ্ণ সাগর বন্দর থেকে খুব বেশি দূরে নয়। কারা ওই ড্রোন সেখানে পাঠিয়েছে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ইউক্রেনকে মঙ্গলবার মস্কোসহ দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য অভিযুক্ত করেছে রাশিয়া।

 

অবশ্য ইউক্রেন প্রায় কখনোই প্রকাশ্যে রাশিয়ার অভ্যন্তরে বা ইউক্রেনের রুশ-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে হামলার দায় স্বীকার করে না।

 

একুশে সংবাদ.কম/সম   

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর