পদ হারানোর পর থেকে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে একর পর এক সমাবেশ করে আসছেন ইমরান খান। দাবি জানাচ্ছেন আগাম নির্বাচনের। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) লাহোরের লিবার্টি চক থেকে ইসলামাবাদ অভিমুখে ‘হক-কি আজাদি’ নামে লংমার্চ শুরু করে পিটিআই। লাখো সমর্থক নিয়ে শুরু হওয়া এ লংমার্চের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইমরান খান নিজেই।
এদিকে লং মার্চ ঘিরে লাহোর থেকে ইসলামাবাদ পর্যন্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে দেশটির সরকার। ১৩ হাজারের বেশি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পিটিআই সমর্থকদের ওপর টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করা হবে না বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। তবে সমাবেশে কোনো বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর হাতে দমনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ। যদিও লংমার্চ শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে পিটিআই।
এর আগে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দ্বিতীয়বারের মতো লংমার্চের ডাক দেন ইমরান খান। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) এক ভিডিওবার্তায় দলে দলে সবাইকে সমাবেশে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়।
চলতি বছর পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় ইমরান খানকে। এরপর থেকে একের পর এক শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আসছে পিটিআই। ইসলামাবাদের দিকে এটি ইমরান খানের দ্বিতীয় লংমার্চ। এর আগে গত ২৫ মে প্রথম লংমার্চের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। সে সময় তার ডাকে সাড়া দিয়ে লাখ লাখ সমর্থক লংমার্চে যোগ দেন।