দেশটির কারাগারের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত সংস্থার এক মুখপাত্র বলেন, সোমবার (৩ অক্টোবর) লালাচুঙ্গায় অবস্থিত কোটোপ্যাক্সি নং ১ কারাগারে সহিংসতায় ১৫ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও ২০ জন।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটিতে কারাগারে সহিংসতায় চার শতাধিক বন্দি নিহত হয়েছে। এজন্য বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ এবং মাদক পাচারের রুট নিয়ে বিভিন্ন গ্যাংয়কে দায়ী করেছে দেশটির রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসোর সরকার।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ নিহতদের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে। কোটোপ্যাক্সির গভর্নর ওসওয়ালদো কোরোনেল জানিয়েছেন, কারাগারে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।তিনি জানিয়েছেন, আহত ১৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে গত জুলাই মাসে সান্তা ডোমিনগো শহরের একটি কারাগারে সহিংসতায় ১২ বন্দি নিহত হয়। তার আগে গত মে মাসে ওই একই কারাগারে সহিংসতায় ঘটনায় ৪৩ বন্দি নিহত হয়।
ইন্টার-আমেরিকান কমিশন অন হিউম্যান রাইটস বলছে, ইকুয়েডরের কারা ব্যবস্থায় কোনো নীতিমালা অনুসরণ করা হয় না এবং বেশিরভাগ কারাগারই জনাকীর্ণ ও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ইকুয়েডরের বিভিন্ন কারাগারে বর্তমানে ৩৩ হাজার ৫০০ বন্দি রয়েছে, যা ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
একুশে সংবাদ/এসএপি