সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

চিঠির মধ্যে মোদিকে ১০০ টাকা দিলেন চা বিক্রেতা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:২০ পিএম, ১০ জুন, ২০২১

ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার কমে গেছে। খেতে পাচ্ছে না অনেক সাধারন মানুষ। অর্থনীতির সূচক তেমন বাড়ছে না। তবে প্রধানমন্ত্রী দাড়ি বাড়ছে প্রতিদিন। এই দৃশ্য আর ‘সহ্য’ করতে পারে নি, ভারতের মহারাষ্ট্রের এক চা বিক্রেতা। তাই তিনি নরেন্দ্র মোদিকে বেকারত্বের সমস্যা জানিয়ে একটি চিঠির লিখেছেন এবং সাথে পাঠিয়েছেন ১০০ টাকা। লিখছেন একটি বিশেষ বার্তা, ‘এই ১০০ টাকা দিয়ে মুখের দাড়ি কামিয়ে ফেলুন।’

মুম্বাইয়ের স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবর সম্প্রতি শোরগোল ফেলেছে এই ঘটনায়। জানা গেছে, অনীল মোরে নামক এক চা বিক্রেতা মোদিকে দাড়ি কামানোর জন্য ১০০ টাকা পাঠিয়েছেন। কিন্তু কেন হঠাৎ এই পদক্ষেপ নিলেন তিনি?

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা দেখে হতাশ হয়েছেন অনীল নামের এক চা বিক্রেতা। করোনা সংক্রমণের জেরে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাজ নেই বহু মানুষের। মহারাষ্ট্রের ইন্দাপুর রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিপরীত দিকে হচ্ছে চায়ের দোকান অনীলের। চোখের সামনে নিজের ব্যবসার পাশাপাশি বহু বন্ধু, প্রতিবেশীদের কাজ হারাতে দেখেছেন অনীল।

ভারতের গণমাধ্যমকে অনীল বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি তার দাড়ি বাড়িয়েছেন। কিন্তু তার আসলে দেশের অর্থনীতি বৃদ্ধির দিকে বেশি নজর দেওয়া উচিত ছিল। দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি, টিকাদানের গতি আনার দিকে নজর দেওয়া উচিত ছিল তার। করোনার দুটি ঢেউ সাধারণ মানুষকে যে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে, তারা সেখান থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসবে, তা দেখা উচিত ছিল প্রধানমন্ত্রীর।’ এই চা বিক্রেতা আরও বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আমি বাস্তব পরিস্থিতিটা বুঝতে পারছি।

আমি প্রধানমন্ত্রীকে ১০০ টাকা পাঠাচ্ছি। এই টাকা দিয়ে তাকে দাড়ি কামিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করতে চাইছি না। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে দেশের গরিব মানুষরা যেভাবে সমস্যায় ভুগছেন, তিনি সেই বিষয়ে বিন্দুমাত্র দৃষ্টি দিচ্ছেন না। তাই তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছি আমি। প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে চা বিক্রেতা আরও লিখেছেন, যে সমস্ত পরিবার করোনায় আপনজন হারিয়েছে, তাদের প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা উচিত মোদি সরকারের।’ আর যেসব পরিবার লকডাউনের জন্য আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে তাদের প্রত্যেককে ৩ লাখ টাকা করে দেওয়ার দাবি করেছেন চা বিক্রেতা অনীল।

একুশে সংবাদ/রাফি

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর