সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বেসরকারি হাসপাতালের জন্য ফি নির্ধারণ করার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:১০ পিএম, ৬ অক্টোবর, ২০২২

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি বলেছেন, “দেশের বেসরকারি মেডিকেল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর একেকটির জন্য একেক রকম ফি থাকায় দেশের মানুষের চিকিৎসার ব্যয়ভার বেড়ে গেছে। এক হাসপাতালে ফি ১০ হাজার টাকা হলে, অন্য হাসপাতালে বিল ওঠে ৫০ হাজার টাকা বা ১ লাখ টাকা। এতে দেশের সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটি চলতে পারে না। আমরা আগেও বেসরকারি হাসপাতালের ফি নির্ধারণ করা নিয়ে সভা করেছি।”

 

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিদের সাথে বেসরকারি হাসপাতালে ফি নির্ধারণী সভায় একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

 

তিনি বলেন,  আমরা বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে ক্যাটেগরাইজড করে বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে ভাগ করে দিচ্ছি। মান অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালগুলো এ, বি, সি, ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হবে। যে হাসপাতালের যে সক্ষমতা আছে সেই সক্ষমতার বাইরে ঐ হাসপাতাল চিকিৎসা দিতে পারবে না। যে হাসপাতালের সিজার করার বা হার্টের চিকিৎসা করার যন্ত্রপাতি নাই সে হাসপাতাল ঐ চিকিৎসা দেয়া মানেই রোগীর জীবন সংকটাপন্ন করা। এজন্যই হাসপাতালগুলোকে চিকিৎসা সেবার মান অনুযায়ী শ্রেণিভুক্তকরণসহ সঠিক ফি নির্ধারণ করে দিতে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করে দেয়া হয়েছে।

 

এর আগে সকালে অন্য একটি বৈঠকে দেশের স্বাস্থ্য সেবায় মানোন্নয়নে প্রাইমারী স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধির উপর জোর দিতে সভায় উপস্থিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তাগিদ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সভায় স্কুল-কলেজের স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দেবার কথা বলেন মন্ত্রী।

 

স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের জন্য প্রাইমারী হেলথ কেয়ার গাইড তৈরি করা হয়েছে বলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় উল্লেখ করেন।

 

দেশের গ্রামাঞ্চলের পল্লী চিকিৎসকরা যত্রতত্র এবং অপ্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক বা গ্যাস্টিকের ওষুধ লিখে গ্রামের সাধারণ মানুষের ক্ষতি করছেন। কোনোরকম সরকারি অনুমোদন না নিয়েই গ্রামে অগণিত চিকিৎসক তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এটি এভাবে চলতে থাকলে চিকিৎসার পরিবর্তে ভুল চিকিৎসায় ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশংকাই বেশি থাকবে। তাই অবিলম্বে সরকারি নিবন্ধন ছাড়া ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার পাশাপাশি সরকারি অনুমোদন ও সার্টিফিকেটবিহীন গ্রাম্য চিকিৎসকদের চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়া হবে।

 

অন্যান্যের মধ্যে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরসহ বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধিবর্গ ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

 

একুশে সংবাদ.কম/আ.হ.জা.হা

স্বাস্থ্য বিভাগের আরো খবর