সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

নারী চিকিৎসকদের চিকিৎসায় বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি: গবেষণা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:৫০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

নারী চিকিৎসকদের চিকিৎসায় রোগীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি বলে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, নারী চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা করালে রোগীদের আবারও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।

এ সংক্রান্ত গবেষণাটি ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’ নামক চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৭ লাখ ৭৬ হাজার পুরুষ ও নারী রোগীর ওপর গবেষণাটি করা হয়। এদের মধ্যে সাড়ে ৪ লাখ পুরুষ রোগী ও ৩ লাখের কিছু বেশি নারী রোগী নানারকম শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। গবেষণায় দেখা গেছে, যে রোগীরা নারী চিকিৎসকের চিকিৎসাধীন ছিলেন তারা তাড়াতাড়ি সেরে উঠেছেন। আর যারা পুরুষ চিকিৎসকের চিকিৎসাধীন ছিলেন তাদের অনেক রকম জটিলতা দেখা দিয়েছে। হাসপাতালেও বেশিদিন থাকতে হয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়, নারী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়ার সময় নারীদের মৃত্যুর হার ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। অপরদিকে পুরুষ চিকিৎসকের চিকিৎসায় নারীদের মৃত্যুর হার ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ। নারী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসায় পুরুষের মৃত্যুর হার ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর পুরুষ চিকিৎসকের চিকিৎসায় নারীর মৃত্যুর হার ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ।

কেন এমন হচ্ছে–তার কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে গবেষকেরা বলছেন, এর আগে আমেরিকার কয়েকটি হাসপাতালেও এমন দেখা গিয়েছিল যে পুরুষ সার্জনদের অধীনে থাকা হার্টের রোগীদের মৃত্যু বেশি হয়েছে। এ তুলনায় নারী সার্জনদের অধীনে থাকা রোগীরা তাড়াতাড়ি সেরে উঠেছেন।

গবেষকদের ব্যাখ্যা, হতে পারে নারী সার্জনেরা রোগীদের প্রতি অনেক বেশি যত্নশীল হয়ে ওঠেন। মাতৃত্বের ভাব নিয়ে তাঁরা চিকিৎসা করেন এবং রোগীকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। তবে এটা প্রাথমিক অনুমান মাত্র।

গবেষকেরা বলছেন, এ নিয়ে গবেষণা এখনও চলছে। যদি দেখা যায় জরিপে এমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তাহলে বিষয়টি নিয়ে উচ্চস্তরের গবেষণা শুরু হবে। সেক্ষেত্রে দক্ষতার সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টাও উঠে আসবে।

গবেষণার সহলেখক এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. লিসা রোটেনস্টাইন বলেন, ‘আমরা জানি যে চিকিৎসার ক্ষেত্রে পুরুষ ও নারী চিকিৎসকদের যত্ন প্রদানের ধরনে পার্থক্য রয়েছে। নারী চিকিৎসকেরা রোগীদের সাথে বেশি সময় ব্যয় করেন।’

 

একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা

স্বাস্থ্য বিভাগের আরো খবর