সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বুস্টার ডোজ গ্রহনে এগিয়ে আসছে না মানুষ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:৩৫ পিএম, ১৮ জুলাই, ২০২২

 

দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৬ দশমিক ৫ শতাংশকে প্রথম ডোজ, ৭০ দশমিক ৩ শতাংশকে দ্বিতীয় ডোজ প্রাদান করা হলেও বুস্টার ডোজ নিতে এগিয়ে আসছে না অধিকাংশ মানুষ। এখন পর্যন্ত ২০ শতাংশ মানুষকেও বুস্টার ডোজের আওতায় আনা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

 

সোমবার (১৮ জুলাই) মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে বুস্টার ডোজ দিবসের ক্যাম্পেইন। সুষ্ঠুভাবে টিকা প্রদানের লক্ষ্যে সারাদেশে ১৬ হাজার ১৮১টি টিকাকেন্দ্রের (৬২৩টি স্থায়ী ও ১৫ হাজার ৫৫৮টি অস্থায়ী) ব্যবস্থা করা হয়েছে। একদিনে প্রায় ৭৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ক্যাম্পেইনে একযোগে ৩৩ হাজার ২৪৬ জন টিকাদানকর্মী ও ৪৯ হাজার ৮৬৯ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। ক্যাম্পেইনে দ্বিতীয় ডোজ প্রাপ্তির চার মাস অতিবাহিত হয়েছে এরূপ ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ ও প্রথম ডোজ প্রাপ্তির নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও যারা দ্বিতীয় ডোজ নেননি এরূপ ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন।

 

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণকল্পে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যেই দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৬ দশমিক ৫ শতাংশকে প্রথম ডোজ, ৭০ দশমিক ৩ শতাংশকে দ্বিতীয় এবং ১৭ দশমিক ৯ শতাংশকে বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ প্রদান করেছে যা সারাবিশ্বে সমাদৃত হয়েছে।

 

তিনি বলেন, ভ্যাকসিনের বৈশ্বিক অপ্রতুলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার দেশের আপামর জনসাধারণকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানে বদ্ধপরিকর। আপনাদের সবার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, বর্তমানে দেশে পাঁচ প্রকারের (অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক এবং জনসন ও জনসন) মোট ২ দশমিক ৭৮ কোটি ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন রয়েছে।

 

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম, টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক প্রমুখ।

 

একুশে সংবাদ.কম/জ.ন.জা.হা

স্বাস্থ্য বিভাগের আরো খবর