সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

নবান্ন উৎসবে ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলায় উপচে পড়া ভিড়

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:০০ পিএম, ১৮ নভেম্বর, ২০২২

হেমন্তে কৃষকের নতুন ধান ঘরে তোলার মধ্য দিয়ে শরু হয় আবহমান গ্রাম বাংলার নবান্ন উৎসব। গত বুধবার পহেলা অগ্রহায়ণ দেশের বিভিন্ন স্থানে নবান্ন উৎসব উদযাপিত হলেও বগুড়ার কাহালুতে শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সাজ সাজ রব ও আনন্দ ঘন পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে এই উৎসব।

 

এ উপলক্ষে কাহালু বাজার, দুর্গাপুর ও সারাই  বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে বসেছে বৃহৎ মাছের মেলা। মেলায়  মাছ কিনতে সৌখিন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

 

কাহালু বাজারের পাইকারি মৎস্য ব্যবসায়ী মোঃ ফজলার রহমান আঃ হালিম সহ অনেক ব্যবসায়ী জানান, নবান্ন উৎসব উদযাপন উপলক্ষে কাহালুতে ১ মণের বেশি মাছ বিক্রির জন্য আনা হয়েছে।  ১৮ কেজি ওজনের বড় কাতল মাছ ১১৮০ কেজি দরে ২১ হাজার টাকা ও  ব্রিগেড মাছ ৬ শত টাকা কেজি দরে ১১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাঝারি ওজনের মাছ ৪’শ থেকে ৫’শ টাকায় কেজি  বিক্রি হয়েছে।

 

এদিকে পৌর এলাকার পালপাড়া গ্রামের শ্রী নব রন্জন জানান, আত্নীয় স্বজন আসবে তাই নবান্ন উৎসব উদযাপন উপলক্ষে আমি বড় মাছ কিনেছি। পরিবার ও আত্নীয় স্বজনদের খুশি সন্তোষ্ট করতে বড় মাছ কিনার রীতি রেওয়াজ অনেক পুরণো। সেই পুরণো রীতিকে ধরে রাখতে নতুন জামাই ও সৌখিন ক্রেতাগন বড় মাছ কিনে থাকেন।

 

নবান্ন উৎসবকে ঘিরে ঘরে ঘরে নতুন চালের ক্ষীর, পিঠা, পুলি, পায়েস আর ফিরনি দিয়ে মেহমানদের আপ্যায়ন করতে ধুম পড়ে যায়। গ্রাম বাংলায় চলে নানা আয়োজন। এই নবান্ন উৎসব উদযাপন মুসলিম সমাজে খুব একটা পালন করা না হলেও আদিকাল থেকে হিন্দু সমাজের মানুষ তাদের পূর্ব পুরুষদের অতীত ঐতিহ্য আর রীতিকে ধরে রাখতে এটি যুগ যুগ ধরে পালন করে আসছে। তাই  নবান্ন উৎসব উদযাপনে হিন্দু সম্প্রদায় নানা আয়োজন করে থাকে।  

 

সূর্য উদিত হবার সাথে সাথে  হিন্দু মহিলারা ঊলু ধ্বনীর মাধ্যমে  জমি থেকে এক মুঠো নতুন ধানের শীষ কলার পাতায় নিয়ে বাড়ির উদ্দ্যেশে রওনা দিয়ে নবান্ন উৎসবের শুভ সূচনা করে। এরপর শুরু হয় তাদের পরবর্তী নানা আয়োজন।

 

দাম বেশি হলেও বাজারে শীতের নতুন সবজি উঠছে। বিশেষ করে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে আড়াইশ টাকা কেজি দরে।

 

অতিথিদের  মিষ্ঠি মুখ করতে পিছিয়ে নেই মিষ্ঠির দোকান। সুস্বাদু গুড়ের জিলাপি সহ হরেক রকমের মিষ্ঠির পসরা সাজিয়ে  মিষ্ঠি বিক্রি করছে দোকানিরা।

 

নবান্ন উৎসবকে ঘিরে বাড়ির নতুন জামাই সহ বিভিন্ন আত্নীয়দের বাড়িতে নিমন্ত্রণ জানানো হয়। আমন্ত্রিত অতিথিরাও আত্নীয়তার বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে  হরেক রকম বাজার নিয়ে হাজির হন আত্নীয়র বাড়িতে।

 

একুশে সংবাদ/হা.অ.র.প্রতি/পলাশ

ফিচার বিভাগের আরো খবর