সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

পরীক্ষা ছাড়াই প্রকাশ পাবে এইচএসসির ফল, সংসদে বিল পাস

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১২:৪৬ পিএম, ২৪ জানুয়ারি, ২০২১

সংসদে বিল পাসের মাধ্যমে দেশের পৌনে ১৪ লাখ শিক্ষার্থী এবার তাদের এইচএসসির ফল পেতে যাচ্ছে। এইচএসসি পরীক্ষা না দিয়েই এসএসসি ও জেএসসির পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এই শিক্ষার্থীদের ফলাফল নির্ণয় করা হবে। করোনাকালে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে সংসদে উত্থাপিত আইনটি রোববার (২৪ জানুয়ারি) পাস হয়।

রোববার সংসদে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১ পাসের জন্য উত্থাপন করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এরপর শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিলটি পাসের পর প্রজ্ঞাপন করতে দুই দিন সময় লাগবে। এরপরই আমরা দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করব।’

আগের আইন অনুযায়ী পরীক্ষা নেয়ার পর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল দেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সংশোধিত বিলে পরীক্ষা ছাড়াই বিশেষ পরিস্থিতিতে ফলাফল প্রকাশের বিধান রাখা হয়েছে।

এর আগে ১৯ জানুয়ারি সংসদে উত্থাপনের পর ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন বিলটি একদিনের মধ্যে এবং বাকি দুটি (‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’, ‘বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’) দুদিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

এদিকে, বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা।অটো পাসের সমালোচনা করেন। সরকার চেষ্টা করলে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হতো বলেও তারা মত দেন। পরে বিলটি ভোটে দিলে তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়।

বিএনপির হারুন উর রশীদ বলেন, ‘অটো পাশে সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী।’ একই মত প্রকাশ করেন বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের রুমিন ফারহানাও।

হারুন উর রশীদ বলেন, আজ আমরা আইন পাস করে অটো পাশ দিয়ে দিলাম। এ সিদ্ধান্তের মাশুল দিবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। বেশ কয়েক মাস কেটে গেলেও পরীক্ষা নেওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি না হওয়ায় গত ৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মত এইচএসসি পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।

সেদিন তিনি জানান, অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে। জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষিত হবে।
   
একুশে সংবাদ/অমৃ 

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর