বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাতে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
করোনা মহামারির পর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু হলে দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাওয়া শুরু হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর কয়েক মাস পরও রপ্তানি আয় অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকে।
কিন্তু চলতি বছরে এসে ঝুঁকি তৈরি হয়। রপ্তানির কার্যাদেশ কমে যায়, রপ্তানিও কিছুটা শ্লথ হয়ে আসে। ধারণা করা হচ্ছিল ইউরোপ-আমেরিকার মূল্যস্ফীতির কারণে ক্রয়ক্ষমতা কমবে। এর ধাক্কা লাগবে তৈরি পোশাকসহ রপ্তানি পণ্যের চাহিদায়। রপ্তানির কার্যাদেশে তার লক্ষণও কিছুটা ফুটে উঠে।
কিন্তু নভেম্বরে রপ্তানি আয়ের চিত্রে সে আশঙ্কা দূর হয়। রপ্তানি আয়ে সুবাতাস ফিরেছে।
ইপিবি’র দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, জুলাই-নভেম্বর পাঁচ মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১৮ দশমিক ৩৩১ বিলিয়ন ডলার। এটি পাঁচ মাসের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭৬৫ মিলিয়ন ডলার বেশি। পাঁচ মাসে কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৫৬৬ বিলিয়ন ডলার।
একইসঙ্গে গত বছরের তুলনায় এ বছর তৈরি পোশাক রপ্তানি আয় বেশি হয়েছে। গত বছরে একই সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে আয় এসেছিল ১৫ দশমিক ৮৫৬ বিলিয়ন ডলার।
তবে পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষিপণ্য ও হিমায়িত মৎস্য রপ্তানিতে গত বছরের ধারা অব্যাহত থাকলেও লক্ষ্য পূরণ হয়নি। এক্ষেত্রে তৈরি পোশাকের বাইরে রপ্তানি বহুমুখী করতে যে লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছিল, তা পূরণে অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বা.নি/পলাশ