সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

আজ খোলা থাকছে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার 

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১১:৪২ এএম, ৯ আগস্ট, ২০২১

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে দুদিনের সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়াও আরো একদিন বন্ধ ছিল আর্থিক প্রতিষ্ঠান। আজ থেকে ফের একইসঙ্গে খুলেছে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার। টানা তিন দিন বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার (০৯ আগস্ট) ব্যাংকে ও পুঁজিবাজারে চলছে কার্যক্রম।

লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।

৫ আগস্ট এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ সাইট সুপার ভিশন বিভাগ। সার্কুলারটি দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) কাছে পাঠানো হয়েছে।

ওই সার্কুলারে আগেই বলা হয়েছিল, করোনা ভাইরাসজনিত রোগ সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ৮ আগস্ট সব তফসিলি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। তবে ৯ ও ১০ আগস্ট ব্যাংকে লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ব্যাংক খোলা রাখা যাবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।

করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকিং লেনদেনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু দিনের সংখ্যা কমানো হয়েছে।  বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একই কারণে চলতি মাসের প্রথম দিন গত রোববার (১ আগস্ট) ব্যাংক বন্ধ ছিল। গত ২৮ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ সাইট সুপারভিশন নতুন নির্দেশনা জারি করে।

নির্দেশনায় বলা হয়, ২, ৩ ও ৫ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হবে। অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের জন্য বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা রাখা যাবে। ১ ও ৪ আগস্ট ব্যাংক বন্ধ থাকবে। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) ফের সকাল ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন চলবে। ব্যাংকের আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষে করতে ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। এমন সার্কুলার দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

একদিকে খুব কাছে থেকে গ্রাহকদের সেবা দেওয়ার কারণে সহজেই  ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা করোনা সংক্রমিত হয়ে পড়ছে বলে জানান কয়েকটি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এতে প্রতিদিন কার্যক্রম পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়ছে মন্তব্য করেন তারা। সপ্তাহে ব্যাংকের সময় সীমা কমোনার বিষয়ে তারা বলেন, সংক্রমণ এড়াতে শিফটিং করে কাজ করতে গিয়ে লোকবলের সংকট দেখা দিচ্ছে। এ জন্যই মূলত ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে। যদিও গ্রাহকদের চাহিদা সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসেই ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হোক। এতে অনেকটাই ভিড় এড়িয়ে সহজেই লেনদেন করা যায় বলে মনে করেন গ্রাহকরা।

একুশে সংবাদ/স/তাশা

অর্থ-বাণিজ্য বিভাগের আরো খবর