আর মাত্র চারদিন পরেই দেশে উদযাপিত হবে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। তবে এত বড় উৎসব সামনে আসলেও পোশাকের মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা খুবই কম। তাই সারা দিনে বেশিরভাগ সময় বিক্রেতাদের অলস সময় পার করতে হচ্ছে। কারন কোরবানির ঈদে পোশাকের বিক্রি খুব একটা হয় না। কোরবানির ঈদে মানুষ কোরবানির পশু কিনতেই বেশি ব্যাস্ত থাকে ।
বিক্রেতারা বলছেন, নতুন পোশাক সব থেকে বেশি বিক্রি হয় রোজার ঈদে। যে কারণে ব্যবসায়ীরাও কোরবানির ঈদ উপলক্ষে নতুন নতুন কালেকশন কম আনেন। আর এবার মহামারি করোনার ভয়াবহ প্রকোপের মধ্যে ঈদ আসায় ক্রেতা আরও কম।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মার্কেট প্রায় ক্রেতা শূন্য। হাতেগোনা কয়েকজন ক্রেতা মার্কেটে এসেছেন। পোশাকের দোকানের মতো প্রায় ফাঁকা দেখা গেছে জুতা ও ইমিটেশন জুয়েলারির দোকানগুলো। ফলে মার্কেটের বেশিরভাগ দোকানের বিক্রয় কর্মীরা অলস সময় পার করছেন। আর এবার যেহেতু করোনার মধ্যে ঈদ পড়েছে, তাই বিক্রি আরও কমে গেছে।
রাজধানী মার্কেটের জুতার ব্যবসায়ী সালাম বলেন, ‘মহামারি করোনাভাইরাস আমাদের বড় ক্ষতি করে দিয়ে গেছে। রোজার ঈদে অনেক নতুন মাল তুলেছিলাম। কিন্তু বিক্রি খুব একটা হয়নি। কোন রকমে আসল টাকা উঠাতে পেরেছিলাম। আর কোরবানির ঈদে বিক্রি কম হবে এটাই স্বাভাবিক। তারপরও যে টুকু বিক্রি হওয়ার কথা তাও হচ্ছে না।’
তালতলা সিটি করপোরেশন মার্কেটের একটি দোকানের বিক্রয় কর্মী মো. মিলন বলেন, ‘সকাল থেকে পাঁচটি থ্রি-পিস বিক্রি হয়েছে। ক্রেতারা খুব কম আসছেন। শুধু আমাদের না, মার্কেটের সবারই একই অবস্থা। আসলে কোরবানির ঈদে মানুষ খুব একটা নতুন পোশাক কেনেন না। যাদের একেবারে না কিনলেই নয়, তারাই আসছেন।’
মৌচাক মার্কেটের ব্যবসায়ী সোহেল বলেন, ‘রোজার ঈদে যে মাল তুলেছিলাম তার অর্ধেকই বিক্রি করতে পারিনি। আর এবার নতুন মাল তোলার তো সুযোগই পাইনি। যখন নতুন মাল দোকানে তোলার কথা, তখনই লকডাউন শুরু হয়ে গেছে। রোজার ঈদে যে মাল তোলা ছিল, তা দিয়েই কোনো রকমে চালিয়ে যাচ্ছি। মাঝে মধ্যে দুই-একজন ক্রেতা আসছেন। এতে কোনো রকমে ঈদের খরচ উঠবে বলে মনে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ এখন জীবন বাঁচানো নিয়ে ব্যস্ত। তারপরও কিছু মানুষ কষ্ট করে কোরবানি দেয়ার ব্যবস্থা করছে। ফলে নতুন পোশাকের প্রতি মানুষের খুব একটা টান নেই। স্বাভাবিক সময়েই কোরবানির ঈদে নতুন পোশাকের বিক্রি রোজার ঈদের তুলনায় অনেক কম হয়। আর এবার দেশজুড়ে করোনার ভয়াবহ প্রকোপ চলছে। সুতরাং বিক্রি কম হবে এটাই স্বাভাবিক।’
করোনার এই পরিস্থিতিতে মার্কেট দোকান পাট খুলে দিলেও খুশি হতে পারছেন না কোন ব্যাবসায়ীরা । কারন কেনা বেচা খুব সল্প পরিমানে হচ্ছে । তাই তারা বেশির ভাগ সময় পার করছে বসে ।
একুশে সংবাদ/জ/বর্না