সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

জীবননগরের মা ক্লিনিকে আয়াকে গলা কেটে হত্যা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১২:৩২ পিএম, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

জীবননগরে হাফিজা খাতুন নামে (৩৫) এক সেবিকাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত হাফিজা খাতুন ওই ক্লিনিকে দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ আয়া হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮ টার সময় জীবননগর পৌর শহরের হাসপাতাল সড়কে মা ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত হাফিজা খাতুন জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের হালসানা পাড়ার সমসের আলীর মেয়ে এবং একই উপজেলার বালিহুদা গ্রামের টাইলস মিস্ত্রী কবির হোসেনের স্ত্রী।

খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানাসহ (দামুড়হুদা সার্কেল) পুলিশের কর্তা ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী জাকির আহম্মেদ শামীম জানান, আমি একটা বিশেষ কাজে ১০ দিন যাবৎ ঢাকায় অবস্থান করছি। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ক্লিনিকের সেবিকা বিউটি খাতুন আমাকে ফোন করে জানায়, রাত ৮ টার দিকে ক্লিনিকের দ্বিতীয় তলায় হঠাৎ গোঙানির শব্দ শুনতে পায়। দ্রুত দ্বিতীয় তলায় গিয়ে একটি কক্ষে হাফিজা খাতুনের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করি। এ সময় অন্যরা এসে তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়।

সেবিকা বিউটি খাতুন শামীমকে আরও জানিয়েছেন, শনিবার সকালে হাফিজার দ্বিতীয় স্বামী কবির হোসেনের সাথে তার ঝগড়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তার স্বামী তাকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে গেছেন।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাগবির হাসান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার গলায় এবং হাতে ধারলো অস্ত্রের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে।

সন্তোষপুর গ্রামবাসী জানায়, সন্তোষপুর গ্রামের হালসানা পাড়ার শমসের আলীর মেয়ে হাফিজা খাতুনের প্রথম বিয়ে হয় মহেশপুর উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামে। প্রথম পক্ষের একটি মেয়ে এবং একটি ছেলে সন্তান রয়েছে হাফিজা খাতুনের। মেয়েটার বিয়ে হলেও ছেলেটা নবম শ্রেণিতে পড়া-লেখা করে। প্রথম পক্ষের স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। পরে ভালোবেসে হাফিজা খাতুন দেড় বছর আগে জীবননগর উপজেলার বালিহুদা গ্রামের টাইলস মিস্ত্রী কবির হোসেনের সাথে বিয়ে করেন।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ বলেন, জীবননগরের একটি ক্লিনিক থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে আছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।  


একুশে সংবাদ/হ.ন.প্র/জাহা
 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর