সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

তীব্র গরমে ফরিদপুরে বাড়ছে তালের শাঁসের চাহিদা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১০:৫৪ এএম, ৬ জুন, ২০২৩

ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলা বিভিন্ন হাটবাজারে সুস্বাদু তালের শাস বিক্রির করতে দেখা গেছে । বিভিন্ন বয়সের মানুষের কাছেই তালের শাস বেশ জনপ্রিয়।

 

সুস্বাদু এই তালের শাসে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ওষুধি গুণও। যার ফলে সব শ্রেনী পেশার মানুষদের দেখা যায় সুস্বাদু এই তালের শাস খেতে।

 

 মৌসুমি বিভিন্ন ফলের সাথে তালের শাসের চাহিদা ও কদর বেড়েছে গ্রামের মানুষের মাঝে।

 

মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সরেজমিনে ফরিদপুর  জেলা সদরসহ ৮টি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার, গ্রাম গঞ্জের মোড়. রাস্তাঘাট,বাসস্টান্ডসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা গেছে, সুস্বাধু এ ফলটির বিক্রিতারা হাঁসুয়া বা ধারলো দ্যা দিয়ে তাল কেটে তালের শাঁস বের করছেন আর ক্রেতারাও অনেক আগ্রহ নিয়ে এগুলো কিনছেন। মৌসুমি অনেক ফলের সাথে এ ফলের কদর বেড়েছে। যার ফলে বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষকে খেতে দেখা যায় এ সুস্বাধু তালের শাঁস।

 

বোয়ালমারী  উপজেলার চরবর্নী  এলাকার তালশাঁস বিক্রেতা আব্দুল হাই বলেন, তাল যখন কাঁচা থাকে,তখন বাজারে এটা পানি তাল হিসেবেই বিক্রি হয়। কেউ বলে তাল শাঁস আবার কেউ বলে তালের চোখ, কেউ বলে তালকুরা।

 

তিনি বলেন, প্রতিটি তালের ভিতর দুই থেকে তিনটি শাঁস থাকে এবং প্রতিটি তাল গড়ে ৮ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি হয়। প্রতিটি তালের পাইকারি কেনা দাম ৫ থেকে ৬ টাকা। গরম পড়লে তালের শাঁস অনেক বেশী বিক্রি হয়। প্রতি বছর আমি এ মৌসুমে তালের শাঁস বিক্রি করে থাকি।

 

আরো বলেন, প্রতিদিন তিনি ৫ থেকে ৬ শতাধিক তাল কেটে বিক্রি করেন। এ বছর প্রচন্ড তাপদাহে মানুষ শরীরের ক্লান্তি দুর করতে তালের মাঁস খাচ্ছেন। গত কয়েক বছরের তুলতায় এ বছর বেশী বিক্রি হচ্ছে।

 

তাল শাঁস কিনতে আসা কলেজ ছাত্র   জাহাঙ্গীর হোসেনসহ কয়েকজন জানান, অনেক ফল যখন ফরমালিনের বিষে নীল, তখন তালের শাঁসে ফরমালিনের ছোয়া লাগেনি। এ জন্য প্রতি বছর আমরা ও আমাদের পরিবারের সকলে খায়। এগুলো খেতে নরম ও সুস্বাধু এবং শরীরের জন্য খুবই পুষ্টিকর।

 

একুশে সংবাদ.কম/সম

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর