সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

তীব্র গরমে কমলগঞ্জে তালের শাঁসের কদর বেড়েছে

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১০:৫০ এএম, ৬ জুন, ২০২৩

জ্যৈষ্ঠের তীব্র গরমে মৌলভীবাজারেরকমলগঞ্জে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষের জনজীবন। দিন ও রাতের এই খরতাপ থেকেএকটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে রসালো তালের শাঁসের কদর বেড়েছে কমলগঞ্জের ভানুগাছ পৌর বাজারে। 

 

রাস্তার পাশে কচি তালের শাঁসের পশরা নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। তীব্র গরমে বেশ কদর বেড়েছে মৌসুমী রসালো ফল তালের শাঁসের।


রোদের তাপমাত্রা যত বাড়ছে ততই চাহিদা বাড়ছে এই ফলের। এ তীব্র গরমে অস্থিরপথচারীদের এক মুহূর্তের জন্য হলেও তৃষ্ণায় স্বস্তি এনে দিচ্ছে কচি তালের শাঁস।তালের শাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারি একটি ফল। গরমের দিনে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ জল শূন্যতা দূর করে, চোখের দৃষ্টি শক্তি ও মুখের রুচি বাড়ায়। রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ভানুগাছ বাজারের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার পাশে তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারাও অনেক আগ্রহ নিয়ে খাচ্ছেন ও বাড়ির জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। 

 

ভানুগাছ বাজার কলেজ রোড থেকে তালের শাঁস কেনা ব্যবসায়ী কামাল মিয়া বলেন, প্রচন্ড গরমে একটু স্বস্তি নিতে ৩০ টাকায় দুটি তাল কিনলাম। এ গরমে শাঁস খেতে খুব ভালো লাগে। মাঝে মধ্যে কিনে বাড়িতেও নিয়ে যাই। টমটম চালক মনা মিয়া বলেন, ১৫ টাকা দিয়া একটি তাল কিনেছি, অনেক সুস্বাদু, খেয়ে অনেক ভালো লাগলো। 

 

ভানুগাছ চৌমুহনায় তালের শাঁস ক্রেতা চাকুরীজীবি সোমাইয়া রহমান বলেন, তালের শাঁস আমার খুব প্রিয় একটি ফল। এখানেই একটি খেয়েছি, আরও ৫টি বাসায় নিয়ে যাচ্ছি। ভানুগাছ বাজারের কলেজ রোডের সাইদুর মিয়া বলেন, আমি গ্রাম থেকে ২টি গাছ কিনেছি, বাজারে এনে বিক্রি করছি, ভালই বিক্রি হচ্ছে, প্রতিটি তালের শাঁস ১৫-২০ টাকায় বিক্রি করছি।

 

 তালের শাঁস বিক্রেতা জমির মিয়া বলেন, গরম পড়লে তালের শাঁস ভালো বিক্রি হয়। প্রতিবছর আমি এ মৌসুমে তালের শাঁস বিক্রি করে থাকি। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় আড়াইশ থেকে ৩শ
শাঁস বিক্রি হয়।
 

একুশে সংবাদ.কম/সম

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর