সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বিটিসিএলের অফিসটিতে কর্মদিবসে পতাকা উত্তোলন হয় না

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:১১ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৩

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের বিটিসিএলের আঞ্চলিক টেলিফোন ভবন অফিস জরাজীর্ণ ভবনটিতে শুধুমাত্র দিবসে পতাকা উত্তোলন করা হয়। কোনো কর্মদিবসে নয়। কর্তৃপক্ষ তথ্য দিতে অনিহা।

 

স্বাধীন দেশ বাংলাদেশ। লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত হয়েছে এই বাংলাদেশ। স্বাধীন বাংলাদেশের পতিচ্ছবি বহন করে আমাদের জাতীয় পতাকা। সেই জাতীয় পতাকা সরকারি এই অফিসে প্রতিদিন উঠাতে হবে কিনা তাঁরা জানেন না। অফিসের কর্মচারীরা শুধু জানেন জাতীয় দিবস গুলিতে পতাকা তুলতে হবে। স্বাধীনতার পরবর্তীতে জরাজীর্ণ খাদের কিনারে থাকা বাংলাদেশ আস্তে আস্তে মাথা তুলে দাঁড়াতে শিখেছে । সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে দেশ পৌঁছে যাচ্ছে পূর্ণাঙ্গ ডিজিটালে। শুধু পৌঁছেনি বাংলাদেশ টেলি কমিউনিকেশন লিমিটেড (বিটিসিএল) এর কামারখন্দ উপজেলার এই অফিসে। এমনকি অফিসের নেমপ্লেট দেখেও বোঝার উপায় নেই যে এটা টেলিফোন অফিস অথচ সরকারি ভাবে জাতীয় পতাকা ব্যবহারের বিধি-বিধান বর্ণিত রয়েছে অফিস কার্যদিবস গুলিতে।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার এই স্থানটি দেখে যে কারো মনে হতে পারে এটা অচল জায়গা। জরাজীর্ণ জায়গাটি অনেকদিন ধরে হয়তো ব্যবহার হয় না। সকাল সাড়ে দশটা বাজলেও উঠেনি জাতীয় পতাকা এবং খোলা হয়নি অফিসের গেটের তালা।

 

সাংবাদিক দেখে লুঙ্গি গেঞ্জি পরিহিত একজন ভদ্রলোক তালা খোলার জন্য এগিয়ে এলে তিনি বলেন, আমি এখানকার লাইনম্যান ফজলুল হক।

 

সকাল সাড়ে দশটায় অফিসের তালা খোলা এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয়নি কেন কথা জিজ্ঞেস করতেই তিনি বলেন, আমরা শুধু জাতীয় দিবসে পতাকা উত্তোলন করি আর তালা খোলার বিষয়ে বলেন আমরা তো ভবনের পিছনে আছি। অফিস খোলা থাকলে কেউ যদি ঢুকে কোনো অন্যায় করে। এরপর জুনিয়র লাইন ম্যান রবীন্দ্রনাথ কর্মকার অফিসে এসে তিনিও একই কথা বলেন।

 

এব্যাপারে কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেরিনা সুলতানা বলেন, সরকারি অফিসে পতাকা তোলার নিয়ম আছে। প্রতিষ্ঠানটি বিটিসিএল মানে লিমিটেড হয়ে গেছে। লিমিটেডের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত আছে সেটা আমার জানা নেই। বিটিসিএল এর কর্মকর্তার কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন।

 

সিরাজগঞ্জ বিটিসিএল এর জেলা জুনিয়র এ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম বলেন, নিয়মিত পতাকা উত্তোলনের বিধান আছে। স্বাভাবিকভাবেই পতাকা তুলতে হবে। এরজন্য ওনাদেরকে চার্জ করলাম। এরপর ওনার সময় নষ্ট হচ্ছে বলে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে ম্যানেজারের সাথে কথা বলতে বলেন ।

 

সিরাজগঞ্জ বিটিসিএল এর জেলা ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রথমে তিনি কর্মদিবসে পতাকা অফিসে উঠানোর কথা বলেন। পতাকা উঠানোর বাধ্যবাধকতা আছে কি না তিনি বিষয়টি কোথাও থেকে জেনে পরে জানাবেন বলেন। এরপর তিনি কিছুক্ষণ পর ফোন করে প্রতিনিধির আইডি নাম্বার জানতে চান এবং বাবুল আক্তার নামের এক সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে বলেন, কথিত সাংবাদিক বাবুল আক্তার জেলা সিনিয়র সাংবাদিকের ছোট ভাই পরিচয় তিনিও আইডি নাম্বার চেয়ে জেলার আরো সিনিয়র সাংবাদিক ও জেলার সিনিয়র রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কথা বলতে থাকেন।

 

তিনি আরো বলেন, সিনিয়র সাংবাদিকগণ প্রতিদিন আমার এখানে এসে চা খান। এত কথা টেলিফোনে বলার অবকাশ নাই। আমি অফিসে কাজ করি এবং তিনি সামনা সামনি কথা বলতে বলেন।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি
 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর