সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

গোদাগাড়ীতে কৃত্তিম সার সংকট, কৃষি কর্মকর্তা ও ডিলার অবরুদ্ধ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৯:৩৯ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

সারের কৃত্রিম সংকট রোধ ও নায্যমূল্য নিশ্চিতকরনের দাবিতে ডিলার ও কৃষি কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করছে কৃষকরা।

 

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার কাঁকন হাট পৌরসভার দায়িত্ব প্রাপ্ত বিসিআইসি সার ডিলার মেসার্স জিকে ট্রেড্রার্স এর  সত্ত্বাধিকারী তুহিনা আক্তার সহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মরিয়ম আহমেদ কৃষকদের নিকট অবরুদ্ধ হন।

 

স্থানীয় কৃষি অফিসের সহায়তায় নানান অনিয়ম করে সারের বেশি দাম ও সংকট দেখানোর প্রতিবাদে তাদেরকে আটক করে স্থানীরা।

 

কৃষকরা ডিলারের বিরুদ্ধে সার কালোবাজারি করে বেশি দামে বিক্রিয়, সার না আনা কৃত্রিম সংকট তৈরি, কৃষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক ব্যাবহার, সময় মতো সার না দেওয়ার অভিযোগ করেন। তারা জানায় ডিলার পটাশ সার ১৭০০-১৮০০ টাকা দাম নিলেও এর সরকারি বিক্রয় মূল্য ৭৫০ টাকা, টিএসপি সার ১১০০ টাকায় বিক্রির নিয়ম থাকলেও নিচ্ছেন ২০০০টাকা,  ডিএপি সারের দাম নিচ্ছেন এভাবেই। একটি সার নিলে অন্য সার নিতে বাধ্য করছেন। এ ছাড়া কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশ ও সখ্যতা করে  ডিলার এসব করছে বলে কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

 

স্থানীয় কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, চাহিদার তুলনায় কম সার দেন ডিলার। এছাড়াও বেশি দামে সার বিক্রি করে। এসব নিয়ে অভিযোগ করেও লাভ হয়নি।

 

কাদিপুর গ্রামের আর এক কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, সারকারি দামের থেকেও বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। কিছু করার নেই। বেশি দামেও ঠিক মত সার দেয় না। তাই আজকে তাকে আটকিয়ে রেখেছিলাম।

 

এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মরিয়ম আহমেদ বলেন, গোদাগাড়ীতে সারের সংকট নেই।ডিলার গুদামে সার রেখে সংকট দেখিয়ে কৃষকদের কাছে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।  

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর