সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে মারধরের অভিযোগ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৭:২১ পিএম, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (গোমস্তাপুর, নাচোল, ভোলাহাট) আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোস্টার ছিড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদেরকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ করা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারী) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকারের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও তার ছেলে মো. আহসান উদ্দীন সরকার।

 

গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পুরাতন বাজারস্থ নিজ বাসভবনে প্রার্থীর পক্ষে তিনি এসব অভিযোগ করেন। এসময় আপেল প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মো. আহসান উদ্দীন সরকার বলেন, গত ২২ জানুয়ারী রবিবার ভোলাহাট উপজেলার জামবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়গাছি বাজারে স্থানীয় আওয়ামীলীগ কর্মী সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ আপেল প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন এবং ভোটারদেরকে ভয়ভীতি দেখান।

 

তিনি আরও বলেন, গত সোমবার (২৩ জানুয়ারী) গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের আপেল প্রতীকের কর্মী মো. হাবিবুল্লাহকে আওয়ামীলীগের কর্মী মেহেদী, আনারুল, মিলন অতর্কিত হামলা করে। স্থানীয়রা পরে তাকে উদ্বার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এতে আপেল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

 

সংবাদ সম্মেলনে মো. আহসান উদ্দীন সরকার বলেন, গোমস্তাপুর উপজেলার পাবর্তীপুর ইউনিয়নের আড্ডা বাজার ও জিনারপুর বাজারে এবং রাধানগর ইউনিয়নের ডুবার মোড়ে আপেল প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে ও পোস্টার নামিয়ে ফেলেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জিয়াউর রহমানের সমর্থকরা। আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এসব বিষয় নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আশা করি, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় আগামী ১ ফেব্রুয়ারী একটি সুষ্ঠ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

 

তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহা. জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এবিষয়ে শীগ্রই আমি সংবাদ সম্মেলন করে আমার বক্তব্য দিবো।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মোতাওয়াক্কিল রহমান মুঠোফোনে জানান, বিকেল ৪টা পর্যন্ত অভিযোগের কপি এখনও হাতে পায়নি। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

একুশে সংবাদ/আ.ও.প্রতি/এসএপি

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর