গতকাল সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান জানান, নিহত ব্যক্তির মরদেহ আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে গুমারদহ গ্রামে বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নিহতের স্বজন, স্থানীয় বাসিন্দা ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নজরুল ইসলামেরা দুই ভাই ও দুই বোন। তাদের বাবা মৃত আবুল হোসেনের রেখে যাওয়া সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা না হওয়ায় নজরুল ইসলাম ও তার বড় ভাই ফজলুর রহমানের মধ্যে মাঝে মাঝেই বিরোধ লেগে থাকতো। গত ১০ জানুয়ারি ফজলুর রহমান গ্রামের মাঠে একটি জমিতে বোরো ধান লাগানোর জন্য আইল দিতে যান। এ সময় নজরুল তাকে বাধা দিলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ফজলুর রহমান তার হাতে থাকা কোদালের হাতল দিয়ে নজরুলকে বেশ কয়েকটি আঘাত করেন। এতে নজরুল গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
শৈলগাছী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ফজলুর ও নজরুল দুই ভাই। দীর্ঘদিন ধরে তাদের দুজনের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। পাঁচ-ছয় দিন আগে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ফজলুর তার ছোট ভাইকে কোদালের হাত দিয়ে মারধর করেন। এতে নজরুল গুরুতর আহত হন। গতকাল সোমবার রাতে রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। আজ সকালে লাশ গ্রামের বাড়িতে আসার পর পুলিশ খবর পেয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।
ওসি ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই সঠিকভাবে বলা যাবে এটি হত্যাকাণ্ড নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু। তবে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি নিহত নজরুলের বড় ভাই ফজলুর রহমান ও তার স্ত্রী নার্গিস সুলতানা পলাতক রয়েছেন।
একুশে সংবাদ.কম/আ.শা.প্রতি/সা’দ