সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

শেরপুরে শ্রমিক সংকটে মহিলা আদিবাসী শ্রমিক দিয়ে ধান কাটাচ্ছে কৃষকরা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:২৫ পিএম, ৮ ডিসেম্বর, ২০২২

শেরপুর জেলার চলতি আমন মৌসুমের ধান কাটা শুরু থেকে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। উক্ত সংকট মোকাবেলায় কৃষকেরা আমন ধান কাটা মাড়ায়ে আদিবাসী মহিলা শ্রমিক দিয়ে শ্রমিক সংকট মোকাবেলা করছে। এতে পুরুষ শ্রমিকের চেয়ে কম মুজুরিতে কাজ করাতে পারছে।

 

প্রতিজন পুরুষ শ্রমিকের দৈনিক মুজুরি ৬/৭ শত টাকা। আর আদিবাসী মহিলা শ্রমিকের দৈনিক মুজুরি ৪/৫ শত টাকা।

 

উল্লেখ্য ইতির্পূবে সীমান্ত অঞ্চলের কুচ, গারো, হাজং, হদি সহ আদিবাসী মহিলারা পুরুষের পাশাপাশি সকল ধরনের শ্রমিকের কর্মকান্ড করতো। মুসলিম শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে আদিবাসী মহিলা শ্রমিকরা শ্রম বিক্রি বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে মুসলমান শ্রমিকরা অধিক আয়ের জন্য এলাকা ছেড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যায়। এ কারনে অত্র অঞ্চলে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। এই শ্রমিক সংকটের সুবাদে আদিবাসী মহিলা শ্রমিকরা আবারো শ্রমিকের কাজে যুক্ত হয়েছে।

 

এতে কৃষকরা কম মূল্যে আদিবাসী মহিলা শ্রমিক দিয়ে ধান কাটা মাড়ায়ের কাজ করাচ্ছে। প্রকাশ থাকে যে অত্র অঞ্চলের দরিদ্র শ্রমিক কৃষকের দৈনিক শ্রমিকের মজুরি দিয়ে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে পারে না। তাই দরিদ্র শ্রমিকের গ্রামে কাজ কার্ম সবসময় থাকে না।

 

এই সময় তাদের ঘরে বসে বেকারত্ব জীবন যাপন করতে হয়। কাজ কর্ম না থাকায় আয় রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অতি কষ্টে জীবন যাপন করতে হয়। গ্রামে কৃষকের ফসলের উৎপাদনের সময় এবং ফসল মাড়াই এর জন্য শ্রমিকের দরকার হয়। তাও আবার কম দামে শ্রম বিক্রি করতে হয়। তাই জীবন জীবিকার তাগিদে দরিদ্র শ্রমিকেরা বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কাজের কর্মরত আছেন। কিছু শ্রমিক শ্রম বিক্রির পরিবর্তে প্রতিদিন আয়ের জন্য ভেন,অটোরিকশা, টলি, রিক্সা সহ বিভিন্ন কাজ করে আয় রোজগার করে দিন চালাচ্ছে।

 

এতে প্রতিদিন দরিদ্র শ্রমিকেরা ৭/৮ শ টাকা রোজগার করে থাকে। অনেকে আবার ছোট ব্যবসা করে আয় রোজগার করছে। বর্তমানে গ্রাম অঞ্চলে চলতি আমন মৌসুমের ধান কাটামারীতে শ্রমিকের ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। অল্প কিছু শ্রমিক আছে যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

 

একদিকে যেমন আমন ধান কাটা শুরু আর অন্য দিকে শীত মৌসুমে নানান রকমের সবজির চাষ শুরু হয়েছে। এই জন্য শেরপুর জেলার আমন ধান কাটা নিয়ে শ্রমিক সংকটে পড়ছে কৃষকেরা। এবং কি শ্রমিকদের বেতন দিগুন করে দিতে হচ্ছে। তারপরেও শ্রমিক সংকটে পড়েছে কৃষকেরা। প্রতি একর আমন ফসল কাটা ও মাড়াই ৮/৯ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।

 

কৃষকদের কাছে এ ব্যপারে জানতে চাওয়া হলে তারা জানায় ধান কাটা মাড়ায়ে কিছুটা খরচ কমাতে সীমান্তের আদিবাসী মহিলা শ্রমিক ধান কাটা মাড়ায়ে যুক্ত করতে বাধ্য হয়েছি। এতে প্রতি একর জমির আমন ধান কাটা মাড়ায়ে ২ হাজার টাকা ব্যয় কম হবে। শুধু মাত্র আমন ধান বহন করতে ২/৩ জন পুরুষ শ্রমিক বারতি মুজুরিতে নিতে হয়। কারন মহিলা শ্রমিকরা আমন ধান বহন করতে পারে না।

 

একুশে সংবাদ.কম/রা.ই.প্র/জাহাঙ্গীর

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর