সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

মদনের প্রোগ্রামার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ 

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:০৪ পিএম, ১ জুলাই, ২০২২

 

স্ত্রীকে মারপিট করা সহ নানা ধরনের নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে এস এম এমরান নামের এক সহকারী প্রোগ্রামর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার ওই কর্মকর্তার স্ত্রী হাফেজ সুমাইয়া খন্দাকার নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এস এম এমরান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় নেত্রকোনার মদন উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার চান্দের বাগ গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে। 

লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৪ আগস্ট নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর থানার দেওয়ানবাগ এলাকার খোরশেদ আলম খন্দকারের মেয়ে হাফেজ সুমাইয়া খন্দকারকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেন এমরান। দাম্পত্য জীবনে দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের। চাকরীর সুবাধে এমরান মদন উপজেলায় শ্যামলী রোড এলাকায় স্ত্রী-সন্তানসহ একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রেখে ২০২২ সালের ৬ জুন রংপুর এলাকার তাসফিয়া তানজিন (২৭) নামের এক নারীকে বিয়ে করেন। গত এক সপ্তাহে আগে স্ত্রী সুমাইয়া খন্দাকারের সাথে সাধারণ বিষয় নিয়ে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে এমরান তার স্ত্রীকে মারপিট শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা সৃষ্টি হলে এমরানের দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ পায়। বিচার চেয়ে প্রথম স্ত্রী সুমাইয়া খন্দকার বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

স্ত্রী সুমাইয়া খন্দাকার জানান, এক মাস আগে থেকেই আমার স্বামী আমাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন শুরু করে। কেন এমন করছেন জানতে চাইছে মারপিট শুরু করে। কিছু বলতে গেলে তালাক অথবা হত্যা করার হুমকি দেয়। পরে জানতে পারি গোপনে তিনি তাসফিয়া নামের এক নারীকে বিয়ে করেছে। বিষয়টি জানতে চাইলে খালি বাসায় আমাকে মারপিট শুরু করে। আমার ছোট দুইটি কন্যা সন্তানের দিকে তাকিয়ে স্বামীর অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছি। নিরূপায় হয়ে ডিসি স্যারের বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছি। 

সুমাইয়া খন্দকারের বাবা খোরশেদ আলম খন্দকার জানান, আমার কোরআনের হাফেজ মেয়েটিকে কয়েক মাস ধরে নির্যাতন করছে তার স্বামী এমরান। পর্দা করায় আমার মেয়ে কারো কাছে কিছু বলতে পারেনি। আমার মেয়েটির ওপর এমন অত্যাচার নির্যাতনের সঠিক বিচার দাবি করছি। 

জানতে চাইলে মদন উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার কর্মকর্তা এস এম এমরান মুঠোফোনে বলেন, আমি অফিসের কাজে ঢাকা গাজীপুর আছি। মদন এসে আপনার সাথে কথা বলব। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বুলবুল আহমেদ জানান, মদন উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার এস এম এমরানের সমস্যার বিষয়টি তার স্ত্রী আমাকে মুঠোফোনে জানিয়েছে। এমরানের বিরুদ্ধে তার দপ্তর ব্যবস্থা নিবে।

এ ব্যাপারে নেত্রকোনা জেলা প্রোগ্রামার কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ জানান, স্ত্রীকে মারপিট ও গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করার বিষয়টি এমরানের স্ত্রী আমাকে মুঠেফোনে জানিয়েছিল। দুইটি সন্তান ও স্ত্রী রেখে বিয়ে করা কাম্য নয়। আমি এমরানকে বলেছি বিষয়টি সমাধান করার জন্য। আমি আজকে ছুটিতে আছি। গতকাল পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে দাপ্তরিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানান, ওই কর্মকর্তার স্ত্রী ও শশুর আমার সাথে দেখা করেছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

একুশে সংবাদকম/স.খ.জা.হা

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর