সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

শ্রীপুরে সংরক্ষিত ৩ টিকিটের হদিস মেলেনি

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:২২ পিএম, ২৬ মে, ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনে কর্মকর্তাদের অজুহাতে তিনটি আসন সংরক্ষণ করা হয়। প্রতিদিন ঢাকাগামী যমুনা এক্সপ্রেসের ১০টি আসনের মধ্যে তিনটি আসন এভাবেই দিনের পর দিন সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সংরক্ষিত ওই তিনটি টিকিট কোথায় বা কার কাছে কী উপায়ে বিক্রি করা হয় তার কোনো হদিস মেলেনি। উপজেলার শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণও এ ব্যাপারে বলেছেন ভিন্ন কথা।

ইউএনও এবং থানার কথা বলে উচ্চমূল্যে ওই তিনটি টিকিট তাদের পছন্দের ব্যাক্তির কাছে নিয়মিত বিক্রি করা হয় বলেও অভিযোগ করেন যাত্রীরা। এর সাথে একজন সহকারী স্টেশন মাস্টার ও একজন পয়েন্টসম্যান জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। তিনটি টিকিট প্রতিদিন কোথায় এবং কাদের কাছে বিক্রি করা হয় এ বিষয়ে তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িত থাকলে সহকারী স্টেশন মাস্টার মাস্টার সাইদুর রহমান ও একজন পয়েন্টসম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে যাত্রী ও স্থানীয় ভুক্তভোগীরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে আবেদন জানান।  

যাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৬ মে) ভোর ৫টায় স্টেশনে গিয়ে একই চিত্র দেখতে পেয়েছেন বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী। সেদিন ভোর সাড়ে ৪টা থেকে লাইনে দাঁড়ানো প্রথম সাতজনের কাছে আসনের বিপরীতে টিকিট বিক্রির পর ইউএনও এবং থানার কথা বলে আসনের বিপরীতে তিনটি টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের চীফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (পূর্ব) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম জানান, এমন ঘটনার কোনো নির্দেশনা আমাদের এখান থেকে দেওয়া হয়নি। টিকিট থাকা সাপেক্ষে প্রাপ্তির অধিকার সকল যাত্রীর। যিনি আগে আসবেন তিনি আগে পাবেন। স্থানীয় প্রশাসন যদি বলে থাকে সেক্ষেত্রে যাত্রীর প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য রাখতে পারেন, তবে প্রতিদিনের জন্য নয়। এ বিষয়টি তিনি স্টেশন মাস্টারকে জানাবে।

নিয়মিত ট্রেনে ভ্রমণ করা যাত্রীরা জানান, ভোর আনুমাণিক ৬টায় শ্রীপুর স্টেশনে ট্রেনটির যাত্রা বিরতি রয়েছে। এক ঘন্টা আগে থেকেই টিকিট বিক্রি শুরু হয়। কাঙ্খিত আসনের টিকিট পেতে যাত্রীরা ভোর সাড়ে ৪টা স্টেশনে উপস্থিত হয়ে টিকিট কাউন্টারের সামনে সারিবদ্ধভাবে অবস্থান করেন। লাইনে দাঁড়ানো যাত্রীদের প্রথম থেকে সাতজনের কাছে আসনের বিপরীতে টিকিট বিক্রি করা হয়। এরপর আসনের বিপরীতে কোনো টিকিট লাইনে দাঁড়ানো যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হয় না। শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং শ্রীপুর থানা পুলিশের কথা বলে ওই তিনটি টিকিট বিক্রি প্রতিদিন সংরক্ষণ করা হয়। আবার কখনও কখনও নিজেদের আত্মীয়স্বজনের জন্য রাখার কথা বলে যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হয় না। এ ঘটনাটি শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশেনের প্রতিদিনের চিত্র।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, শ্রীপুর থানা পুলিশের কথা বলে প্রতিদিন ট্রেনের টিকিট সংরক্ষণ করে রাখার বিষয়টি তাদের মনগড়া। তাছাড়া টিকিট প্রাপ্তির অধিকার নিয়মানুয়ায়ী সকল যাত্রীর।

 

 

একুশে সংবাদ/টি.সা/এস.আই
 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর