সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

নালিতাবাড়ীতে ইউএনওর হস্তক্ষেপে ভূমি ফেরত পেলেন মালিক

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ২০ অক্টোবর, ২০২১

শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌরশহরের প্রায় কোটি টাকা মূল্যের ২শতক জমি ৮ বছর পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভিনের হস্তক্ষেপে ফেরত পেল প্রকৃতমালিক।

তথ্যানুসন্ধানে জানাযায়, গড়কান্দা নিবাসী আ: রহিম মাস্টার মৃত্যুবরন করায় তার রেখে যাওয়া সম্পত্বি নালিতাবাড়ী গড়কান্দা মৌজায় হাল ২০৮নং খতিয়ানের হাল ৫৪১ দাগে ২৫ শতাংশ ও হাল ৪৭৫ নং দাগে ৪শতাংশ একুনে ২৯ শতাংশ জমি । 

ওয়ারিশ মূলে আ: রহিমের মাতা জবেদা খাতুন হিস্যা ০.০৪৮৩৩শতাংশ মালিক হয়। জমির মালিক হওয়ার পর তিনি সে জমি তারই কন্যার ছেলে খাইরুল ইসলাম ও এমরুল হাসানকে  হেবা ঘোষনার মাধ্যমে ৫৪১ দাগে ১ শতাংশ ও ৪৭৫ দাগে ২ শতাংশ জমি লেখে দেয় ২০১৪ সালে ৭ আগস্ট ৫১৭৭ নং দলিলে। 

কিন্ত মৃত আ: রহিম মাস্টারের ছেলে আশরাফুল আলম জোরপূর্বক নিজে ভূখদখল করে জনৈক দিপক নামে এক ব্যাক্তিকে খাবার হোটেল করার জন্য ভাড়া দেয়। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দুই পক্ষের লোকজনের সাথে কথাবলে ও জমির কাগজপত্র যাচাই বাচাই করে জমির মালিক খাইরুল ইসলাম ও এমরুল হাসান উভয় পিতা হাতেম আলীকে ভোগদখল করতে বলে। একই সাথে সেপ্টেম্ব ২০২১ সাল থেকে হোটেলের ভাড়া খাইরুল ইসলাম ও এমরুল হাসানকে দিতে বলে ও একমাসের ভাড়া প্রদান করে।

জমির ভারাটিয়া দিপক বলেন, আমি আশরাফুলের কাছথেকে ভাড়া নিলেও সেপ্টেম্বর ২০২১ থেকে ইউএও স্যারের নির্দেশে খাইরুল ও এমরুল কে ভাড়া প্রদান করি।
খাইরুল ইসলাম বলেন, আট বছর আগে আমার নানী আমাদেও দুই ভাইকে লিখে দিলেও আমরা ভোগদখল করতে পারছিলাম না। ইউএনও স্যারের মধ্যমে আমরা আমাদেও জমি ফেরত পাই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভিন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে ও কাগজপত্র দেখে জমির মালিক খাইরুল ইসলাম ও এমরুল হাসানকে ভোগ দখলকরতে বলি।

একুশে সংবাদ / এএম/এএমটি
 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর