সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কারের তাগিদ পিআরআইয়ের

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৯:১০ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার না হলে সরকার বিপুল পরিমাণ কর হারাবে বলে মনে করছে গবেষণা সংস্থা পিআরআই। সংস্থাটির হিসেবে এতে, ২০৪১ সাল নাগাদ পুঞ্জিভূত ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৫০ লাখ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীতে এক সেমিনারে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। এজন্য কর ছাড় বাতিল করাসহ নানা সুপারিশ করেছেন গবেষকরা। ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি, কর ছাড় তুলে নেয়া হলে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারাবে বেসরকারি খাত।

গত এক দশকে অর্থনীতি যে গতিতে এগিয়েছে, রাজস্ব আদায় সে গতিতে বাড়েনি। ফলে কর জিডিপি অনুপাত সাড়ে দশ শতাংশ থেকে সাত শতাংশে নেমেছে। এতে সরকারের খরচ করার সক্ষমতা কমেছে। বেড়েছে দেশি-বিদেশি ঋণ। সংকট উত্তরণে আয় বাড়ানোর উপায় খুঁজছে সরকার।

অর্থনীতিবিদদের মতে, স্বল্পমেয়াদে রাজস্ব বাড়াতে হলে কর অব্যাহতি তুলে দিতে হবে। এর মাধ্যমে ৪ বছরে আসবে ৬০ হাজার কোটি টাকা। দীর্ঘমেয়াদে সংস্কার আনতে হবে রাজস্ব আদায় ব্যবস্থায়। ভ্যাট ও আয়করের অটোমেশন, কাঠামোগত সংস্কারসহ নানা পরামর্শ দেন অর্থনীতিবিদরা। তারা জানান, সংস্কার হলে ২০৪১ সাল নাগাদ রাজস্ব বাড়বে ৪৯ লাখ কোটি টাকা।

পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ডিরেক্ট ট্যাক্সের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে। ইনডিরেক্ট থেকে নজর সরাতে হবে তা নয়, কিন্তু বেশিরভাগে রেভিন্যু আসতে হবে সরাসরি কর থেকে। এটা না হলে কিন্তু ইনকাম ডিস্ট্রিবিউশন আমরা অ্যাডজাস্ট করতে পারব না।’

ব্যবসায়ীদের দাবি, কর ছাড় তুলে নিতে হলে ব্যবসার খরচ কমাতে হবে। রপ্তানি বহুমুখী করতে দরকার নীতিসুবিধা।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস অনেক জায়গা থেকেই এখানে বেশি। আমরা যদি করছাড় না দেই তাহলে ইন্ডাস্ট্রিগুলো কম্পিটিটিভ থাকবে না।’

সেমিনারে অর্থ প্রতিমন্ত্রী অভিযোগ ওয়াসেকা আয়শা খান করেন, অনেকেই কর ফাঁকি দিতে সম্পদের মূল্য কম দেখাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘যারা প্রপার্টি বিক্রি করেন, আমাদের যারা প্রপার্টি হোল্ডার আছেন ওনারা কেউই চান না ওনার টাকাটা ট্যাক্স ফাইলে দেখান না।’

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘আমরা মুখে যতোই বলি আমরা কর ভ্যাট দিতে চাই। আসলে কিন্তু একটা বড় অংশই দিতে চায় না। বলার সময় আমরা বলি কিন্তু ব্যক্তি পর্যায়ে যখন যায় তখন আর দিতে চায় না।’

সামষ্টিক অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষায় নীতি নির্ধারণে নানা দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মশিউর রহমান।

 

একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
 

অর্থ-বাণিজ্য বিভাগের আরো খবর