সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

আক্কেলপুরে ২১ জন গৃহহীনরা পেল প্রধানমন্ত্রীর উপহার

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৮:১৬ পিএম, ২০ জানুয়ারি, ২০২১

আছমা বেগম (৫৩)। গত ২০০৮ সালে স্বামী মো: মজিবর প্রামানিক মারা গেলে ৪ ছেলে মেয়ে নিয়ে পথে বসে যান। সংসারের হাল ধরতে নিজেকে ভিক্ষাবৃত্তির মতো পেশা বেছে নিতে হয়েছে। অনেকদিন অনাহারে অর্ধাহারে কেটেছে। মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে সংসার চালিয়ে সন্তানের মুখে আহার তুলে দিয়েছে। একখন্ড জমি তার কাছে স্বপ্নের মত। একটা পাকাবাড়ি তো চিন্তাই করতে পারেন না।

অবশেষে জয়পুরহাটের আক্বেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের মাধাইপুর গ্রামের সেই আছমা বেগম পাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ২ শতাংশ জমি এবং ২ কক্ষ বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দিত ১টি পাকা বাড়ী। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে তার চোখ ছল-ছল করছিল। একখন্ড জমি এবং পাকাবাড়ি পেয়ে তিনি প্রাণ খুলে দোয়া করেছেন প্রধানমন্ত্রীর জন্য। তিনি বলেন, প্রানভরে দোয়া করি বাপু। শেখের বেটি সুস্থ্য থাক, আল্লাহ যেন তাক দীর্ঘজীবী করে । হামাকের মত মানুষের আরও সেবা করতে পারে।

আক্কেলপুর উপজেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে রায়কালী ইউনিয়নের দেওড়া মৌজায় স্থান পাচ্ছেন এমন আরো ১০ টি পরিবার। ভ্যানচালক মিনহাজুল স্বপ্নেও কোনদিন চিন্তা করেনি তিনি একখন্ড জমি এবং পাকা ঘরের মালিক হবেন। দিনমজুর ছাদেক মন্ডল, ছাইফুল ইসলাম, জিয়ারুল প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণভরে আর্শিবাদ করেছেন।

মপেলা বিবি প্রায় ৪০ বছর পূর্বে জীবন যুদ্ধের তাগিদে জেলা ফরিদপুর থেকে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে আক্কেলপুর উপজেলায় আসে। রায়কালী ইউনিয়নে একটি চাতালে শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে স্বামী আব্দুস সাত্তার মারা গেলে নি:সন্তান মোপেলা বিবি আর ফরিদপুরে নিজ বাড়িতে ফিরে যাননি। চাতালের পাশেই রাস্তার ধারে মানুষের বাড়ীতে আশ্রিত হয়ে থেকে যান।

মোপেলা তার অনুভূতি জানাতে গিয়ে আবেগ আপ্লেতু হয়ে পড়েন। স্বপ্নের বাড়ী পেয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, আল্লাহ তুমি শেখের বেটিকে দীর্ঘজীবী করো। তার হাত দিয়ে আরো মানুষের সেবা করার সুযোগ করে দাও।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস. এম. হাবিবুল হাসান জানান ‘‘আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’প্রতিপাদ্য’কে সামনে রেখে আক্কেলপুর উপজেলায় ‘ক’ শ্রেণীভূক্ত অর্থাৎ যার জমি নেই, ঘর নেই এমন ২১ টি পরিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ২ শতাংশ জমি এবং ২ কক্ষ বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দিত ১টি করে বাড়ীর মালিক হতে যাচ্ছেন।


‘‘বাংলাদেশর একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না”“মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতিকে সামনে রেখে সরকারের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের খাসজমি বন্দোবস্থ প্রদান পূর্বক তাদের জন্য পাকা গৃহ নির্মাণের এই প্রকল্পেটি উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কমিটির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের দেওড়া মৌজায় ১০ টি বাড়ি এবং সোনামুখী ইউনিয়নে ১১টি বাড়ির নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সময় মতো কাজ শেষ করার পাশা-পাশি তদারকি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নিয়মিত নির্মাণ কাজ তদারকি করা হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নিয়মিত খোজ খবর রাখছেন। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অসাধারণ এই উদ্যোগ পৃথিবীর বুকে একটি মাইল ফলক হয়ে থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

একুশে সংবাদ.নি.দ/এস

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর