সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছরে পদার্পণ করলো ঐতিহ্যবাহী সোহরাওয়ার্দী কলেজ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:১৮ পিএম, ১০ নভেম্বর, ২০২৩

শনিবার (১১ নভেম্বর), পুরান ঢাকার লক্ষীবাজারে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছরে পদার্পণ করলো।

 

১৯৪৯ সালের ১১ নভেম্বর নালগলার ৫/১, জুম্মন ব্যাপারী লেনে (ভাওয়ালরাজ এস্টেট) কলেজটির কার্যক্রম শুরু হয়। পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর উপাধি অনুসারে কলেজের নাম রাখা হয় কায়েদ-ই-আজম কলেজ। পরবর্তীতে লক্ষ্মীবাজারে জমি ক্রয় করে কলেজটিকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়।


 

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে কলেজটির নাম পরিবর্তন করে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নামানুসারে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ‍‍ নামকরণ করা হয়। পরে ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর কলেজটি সরকারি হলে এর নাম হয় ‍‍সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ‍‍।


 

শুরুতে কলেজটিতে কেবল আই.এ, আই.কম এবং বি.কম. কোর্স চালু ছিল।  ১৯৫৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞান বিভাগ চালু হয়, পরবর্তীতে ১৯৫৮ সালে কলেজটিতে বি.এস.সি কোর্স চালু হয়। এটিই ঢাকার মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের জন্য উচ্চশিক্ষার প্রথম কলেজ। কারণ সে সময় ঢাকার অন্য কোনো কলেজে বিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ ছিল না।


 

শুরুতে কলেজটিতে শুধুমাত্র উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালু থাকলেও ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষাব্যবস্থা চালু হয়। পরবর্তীতে শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কলেজটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়।

 

প্রতিষ্ঠার পরে ১৯৫০ সালে সৈয়দ জহির আহসান কলেজটির প্রথম অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং বর্তমানে অধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন অধ্যাপক মোঃ মোহসিন কবীর। ঐতিহ্যবাহী এই কলেজটিতে বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক এর পাশাপাশি ৩ টি অনুষদে সর্বমোট ১৭ টি বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যায়নের সুব্যবস্থা রয়েছে।

 

পুরান ঢাকার লক্ষীবাজারে অবস্থিত কলেজটি মাত্র ১ একর জায়গায় উপর হলেও এখানে এখানে নিয়মিত প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। ফলে রুম সংকট, শিক্ষক সংকট, মাঠের অভাব, কেন্টিনের অভাব, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বাসের অভাব, অপর্যাপ্ত আসনের লাইব্রেরি ইত্যাদি সমস্যার কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদেরকে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসব সমস্যা সমাধানের প্রত্যাশা করছে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

ক্যাম্পাস বিভাগের আরো খবর