সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

নানা আয়োজনে জাবিসাসের সুবর্ণজয়ন্তী পালিত

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৮:৩৮ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০২৩

‍‍`অর্ধশতকে জাবিসাস, মুক্তবাকের উচ্ছ্বাস‍‍` প্রতিপাদ্যে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ভিত্তিক সংবাদিক সংগঠন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (জাবিসাস) এর সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হয়েছে।

 

শনিবার (১৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক  কেন্দ্রে কেক কাটার মাধ্যমে দিনব্যাপী এই বর্ণাঢ্য আয়োজনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম।

 

পরে বেলা ১১টায় টিএসসি থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি সপ্তম ছায়া মঞ্চ, জহির রায়হান অডিটোরিয়াম, রসায়ন বিজ্ঞান ভবন হয়ে ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে এসে শেষ হয়। এরপর  ভবনের  কনফারেন্স কক্ষে ‘তারুণ্যের বোঝাপড়ায় বাংলাদেশের সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

জাবিসাসের সভাপতি বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলকামা আজাদের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান ও প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাবি উপ উপাচার্য অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, জাবিসাস এলামনাই সভাপতি শহিদুল হক মঞ্জু, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ, প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান প্রমুখ।

 

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, ‍‍` আমরা অনেক মিডিয়া তৈরি করেছি কিন্তু সাংবাদিক তৈরি করতে পারিনি। আমাদের দেশে সাংবাদিক সংগঠনগুলোতে অনেক লোক আছে যারা কলম চালাতে জানে না। আমরা প্রেস ইন্সটিটিউট থেকে নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি কিন্তু সাংবাদিকরা সেভাবে কাজ করে না।‍‍`

 

সাগর ও রুনি হত্যার ঘটনায় কোন অনুসন্ধানি প্রতিবেদন না থাকা নিয়ে জাফর ওয়াজেদ বলেন, ‘সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি হত্যা হলো। তার অনেক সাংবাদিক বন্ধু সেসময় সেখানে গিয়েছিলো৷ কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো সাংবাদিক একটা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেনি। তারা পুলিশ কী করছে সেটার দিকে তাকিয়ে আছে। আমাদের সাংবাদিকতার ইতিহাসে এটা কলঙ্ক হয়ে থাকবে যে এই ঘটনা নিয়ে আমরা কোনো অনুসন্ধান করিনি।’

 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ এনামুর রহমান বলেন, ‘সাংবাদিকতা হচ্ছে  গণতন্ত্রের স্তম্ভ। সাংবাদিকদের সংবাদের ভিত্তিতে সরকার রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। সাংবাদিকরা আছেন বলেনই সত্য উদঘাটিত হয় আর আমরা ন্যায় বিচার পেতে পারি। বাংলাদেশের মত একটি গনতান্ত্রিক দেশ।এখানে একজন সাংবাদিক স্বাধীন কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে।

 

আলোচনা সভা শেষে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে স্মৃতি স্মারক “প্রতিধ্বনি” এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এছাড়া বেলা চারটায় জাবিসাস কার্যালয়ে বর্তমান ও সাবেক সদস্যদের অংশগ্রহণে ‘জাবিসাসের মেলবন্ধন’ শীর্ষক আড্ডার আয়োজন করা হয়।

 

উল্লেখ্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ক্যাম্পাস ভিত্তিক সাংবাদিক সংগঠন। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭২ সালের ৩ এপ্রিল।

 

একুশে সংবাদ.কম/আ.হ.প্র/জাহাঙ্গীর

ক্যাম্পাস বিভাগের আরো খবর