সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কোটালীপাড়ায় সড়কের পাশে পড়ে রয়েছে পাকা টমেটো

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:৩৫ পিএম, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় সড়কের পাশে পড়ে রয়েছে পাঁকা টমেটো।  মৌসুমের শুরতে ভালো দাম থাকলেও এখন তেমন দাম নেই। চাষীরা ক্ষেত থেকে টমেটো সংগ্রহ করে বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসে বাজারে। দাম না থাকায় সড়কের পাশে, পুকুর পাড়ে বাজারের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় ফেলে রেখে দেয়। কখন বিক্রি হবে। ক্রেতা শুন্য টমেটো বাজার, পাইকার নেই। তবুও বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসে বাজারে।

 

টমেটো উত্তোলন করতে লেবার ও যানবাহন খরচ সব মিলিয়ে যে খরচ আছে এতে লাভের চিন্তা করা যায় না।উপজেলার চকপুকুরিয়া, রুথিয়ার পাড়  টমেটো বিক্রি করার জন্য বিখ্যাত বাজার। এখানে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার টমেটো বিক্রি হয়।

 

আগম টমেটো বিক্রি হয়েছে মণ প্রতি ৩৮শ থেকে ৪হাজার টাকা। এভাবে কিছুদিন বিক্রি হওয়ার পর ক্রমান্বয়ে দাম কমে আসছে। বিভিন্ন ক্রেতাদের কাছ থেকে  জানা যায় বর্তমান টমেটোর বাজার দর।

স্থানীয় টমেটো পাইকার সঞ্জয় হাজরা বলেন , শুরতেই যখন আগাম টমেটো বাজারে এসেছে তখন দামে খুব ভালো ছিলো।৮০থেকে ৯০ টাকা কেজি প্রতি ক্রয় করেও ভালো লাভে বিক্রি করতে পেরেছি।প্রথম দিকে টমেটোর চাহিদা বেশি থাকায় দামে চড়া ছিল। ক্রমান্বয়ে উৎপাদন বেশী হওয়ায় চাহিদা কমে গেছে দামে সস্তা হয়ে গেছে।

 

ঢাকা ও বরিশাল থেকে টমেটো পাইকার রুবেল ও আলআমনি বলেন, আমরা চকপুকুরিয়া বাজারে দীর্ঘ সাত থেকে আট বছর ব্যবসা করি। আমরা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে টমেটো ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করি। টমেটোর প্রথম দিকে উৎপাদন কম থাকায় দামে বেশি ছিলো, এখন উৎপাদন বেশী দামে কম।

 

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ৫ থেকে ৭ টাকায় টমেটো ক্রয় করেছি। বেশি দামে ক্রয় করলে বিক্রি করতে পারিনা।  দেশের বড় বড় শহরে টমেটোর চাহিদা কমে আসায় দাম কমে আসছে।

কলাবাড়ী ইউনিয়নের বৈকন্ঠপুর গ্রামের টমেটো চাষি সাগর ফলিয়া বলেন, আমি আগাম টমেটো চাষ করতে পারিনি, টমেটো চাষে আমার খরচের টাকাও উঠবে না।

 

আজকে বাজারে দশ মণ টমেটো নিয়ে আসছি, বিক্রি করছি মাত্র দুই হাজার টাকা। টমেটো সংগ্রহ ও যানবাহন খরচ সব মিলিয়ে দুই হাজার টাকার বেশি খরচ হয়েছে।

 

টমেটো চাষি বিনয় রায়য বলেন- আগাম টমেটো চাষ করে আমি অধিক লাভবান হয়েছি।  আমি দেড় বিঘা জমির ঘেরের চার পাড়ে আগাম জাতের টমেটো চাষ করে দেড় লক্ষ টাকা পেয়েছি। আমি টমেটো চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছি।

 

একুশে সংবাদ/সু.ব.প্রতি/এসএপি

কৃষি বিভাগের আরো খবর