সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সমন্বিত খামারে আশরাফুলের সাফল্য

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:৫৩ পিএম, ৮ নভেম্বর, ২০২২

নড়াইলে বিভিন্ন প্রজাতির গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগী, টার্কি ও কবুতরের খামার করে নিজের সফল মো. আশরাফুল ইসলাম (৪২)।

 

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কামরগ্রামে গড়ে তুলেছেন সমন্বিত খামার। পাঁচ একর জায়গায় এসব খামার করে এখন সফল তিনি। মাত্র ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে আজ তার খামারের মূল্য দাঁড়িয়েছ প্রায় ৩০ লাখ টাকা।

 

এলাকায় একজন সফল খামারি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। এছাড়া তার খামারে এলাকার অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।

 

স্থানীয়রা জানান, আশরাফুল খামার গড়ে তোলার মাধ্যমে নিজে আর্থিকভাবে যেমন লাভবান হয়েছে তেমনি তার খামারে অনেক বেকার যুবকরা কাজ করে সচ্ছল হয়েছেন। পরিবার নিয়ে সুখে-শান্তিতে জীবনযাপন করতে পারছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ।


খামারে কর্মরত শ্রমিকরা জানান,  এই খামার গড়ে তোলার ফলে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।মালিকের পাশাপাশি তারাও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। পরিবার-পরিজনদের নিয়ে সুখে দিন কাটাচ্ছেন।

 

আশরাফুল ইসলাম জানান, তিনি আগে ঢাকায় ব্যবসা করতেন। ব্যবসা ছেড়ে গ্রামে এসে ‘খামারবাড়ি’ নামে সমন্বিত খামার গড়ে তোলেন। ২০১৯ সালে একজোড়া মোরগ-মুরগী দিয়ে শুরু করলেও এখন ৫ একর জমিতে তার এই খামার। ভবিষ্যতে আরো বড় করার পরিকল্পনা রয়েছে তার। এই খামার থেকে বর্তমানে বছরে ১০-১২ লাখ টাকা আয় করেন তিনি। তবে তিনি আশা করছেন আগামী বছর তার আয় দেড়গুণ বৃদ্ধি পাবে।

 

জানা গেছে, শহর থেকে গ্রামে এসে তার এই খামার করা দেখে প্রথম দিকে মানুষ হাসাহাসি করলেও এখন তারাই আশরাফুলের খামার দেখতে আসেন। তবে তার এই খামার গড়ে তোলার পেছনে পরিবারের সদস্যদের বিশাল অবদান রয়েছে। তার প্রত্যাশা, এলাকার অন্যরাও তার মতো এমন খামার তৈরি করুক। কারণ তিনি মনে করেন এ ধরনের খামারে কোনও লস নেই বরং এটি অত্যন্ত লাভজনক।

 

ওই ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের এআই টেকনিশিয়ান সরজিৎ কুমার টিকাদার বলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তত্বাবধানে তিনি প্রথম থেকে আশরাফুলের খামারের দেখাশোনা করেন, যাতে এই খামারটা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয় এবং এ দেখে অন্যান্যরাও উদ্বুদ্ধ হয়।

 

একুশে সংবাদ/উ.রা.প্রতি/পলাশ

কৃষি বিভাগের আরো খবর