সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে শহীদ পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৮:৫৬ পিএম, ৬ মে, ২০২৪

কিশোরগঞ্জের নিকলীতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আবু জাফর খাঁনের পরিবার সন্ত্রাসীদের ভয়ে ভিটে-বাড়িছাড়া। সন্ত্রাসীরা তাদের পৈতৃক সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা করছে। সন্ত্রাসীদের এই ঘৃন্য কর্মকান্ডের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী শহীদ পরিবার।

সোমবার (৬ মে) সকাল ১১টায় জেলা শহরের পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী শহীদ পরিবার।এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শহীদ আবু জাফর খাঁনের সন্তান সিরাজুল ইসলাম খাঁন।

সিরাজুল বলেন, ১৯৭১ সালে পাকবাহিনীর হাতে আমার বাবা আবু জাফর খাঁন শহীদ হন। বাবার মৃত্যুর সময় উনার নামে অনেক সম্পত্তি রেখে যান। বাবার মৃত্যুর পর আমার মা অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছিলেন। আমার বাবার মৃত্যুর ২ মাসের মাথায় আমার গর্ভধারিণী মাও আমরা ছোট দুটি ভাই ও বোনদের রেখে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন বোনদের বাড়িতে থেকে বড় হয়ে আমি ঢাকায় একটি চাকরিতে যোগদান করি। ছোট ভাই যুবরাজকে সকলের সহযোগিতায় প্রবাসে পাঠিয়ে দেই।

তিনি বলেন, অনেক বছর পর দেশে ফিরে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেই বাবার ভিটে মাটিতে একটি ঘর তৈরি করার। সেই সুবাদে আমার চাচাতো ভাই বাবু,পলাশসহ তার ভাইদের কাছে বলার পর তারা বিরূপ আচরণ করতে শুরু করে। পরবর্তীতে আমরা সালিশের আবেদন করলে নিকলী উপজেলার কারপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাকী আমান খানের সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আশেপাশের কয়েক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে নিয়ে অনেকবার সালিশ হয় এবং সবগুলো সালিশে দলিলাদি দেখে বিচারকরা আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করেন।

আমাদের চাচাতো ভাই বাবু ও তার ভাইয়েরা সালিশ থেকে লিখিতভাবে রায় মেনে গেলেও পরবর্তীতে আমাদের বাড়িতে ঢুকতে দেয় না বরং আমাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাড়িয়ে দেয়।

সর্বশেষ তাদের করা একটি মামলায় আদালতের প্রতিনিধি সরেজমিন এসে এলাকায় তদন্ত করে এই সম্পত্তি আমাদের দখলভুক্ত সম্পত্তি বলে আদেশ প্রদান করে।

সিরাজুল আরো বলেন, আদালতের এই আদেশের ধারাবাহিকতাই পরবর্তীতে আমাদের জায়গায় বসতঘর নির্মাণ করি। এরপর আমরা কিশোরগঞ্জ চলে আসার পর গত ২৫ এপ্রিল রাতে সন্ত্রাসী বাবু ও তার পরিবারের সদস্যরা রাতের আঁধারে আমাদের ঘরের সমস্ত মালামাল লুট করে নিয়ে যাচ্ছে, এমন খবর পাওয়া মাত্রই দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখি সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে এবং আমাদের দেখে বাবু ও তার পরিবারের সদস্যরা হত্যা করবে বলে হুমকি দিতে থাকে। তখন আমরা প্রাণের ভয়ে দ্রুত সেখান থেকে সরে যাই। এখন তারা আমাদের নিকলী ও তার আশেপাশে যেকোনো স্থানে পাওয়া মাত্রই খুন করবে বলে হুমকি দিচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শহীদ আবু জাফর খাঁনের সন্তান সিরাজুল ইসলাম খাঁন, শামসুন্নাহার খানম, আনোয়ারা খানম, রেখা খানম, শাহানা খানম ও জুবরাজ খাঁনসহ পরিবারের সদস্যরা।

 

একুশে সংবাদ/আ.ই.জে/সা.আ

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর