সোমবার ভোরে চলনবিলের সামারকোল এলাকা থেকে এই পাখি উদ্ধার করা হয়। এসময় আর কোন দিন পাখি শিকার করবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে সোহেল নামের এক কিশোর পাখি শিকারিকে তার অভিভাবকের জিম্মায় দেয়া হয়। ধ্বংস করা হয় পাখি শিকারের বিশেষ ফাঁদ ৩টি কিল্লা ঘর। পরে পাখিগুলো শামারকোল বাজার ও চামারী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে অবমুক্ত করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক ও পরিবেশ কর্মী শারফুল ইসলাম খোকন, আব্দুর রশিদ, জুবায়ের হক, আবু কাহার, হাবিব প্রমাণিক, রিপন হোসেন প্রমূখ।
চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, চলনবিলে প্রতি বছরের ন্যায় বর্ষার শেষ ভাগে ও শীতের শুরুতে পাখি শিকারির দৌরাত্ম বেড়েছে। আর এক ঝাঁক তরুণ চলনবিলে পাখি ও প্রকৃতি বাঁচাতে ছুটে চলেছে। সোমবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিংড়ার চামারী ইউনিয়নের সামারকোল বিলে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে ভিজে ও কাঁদা-পানি মাড়িয়ে অভিযান চালিয়ে ৩টি কিল্লা ঘর থেকে ১৫টি বকপাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়েছে। পরে পাখি শিকার বন্ধে এলাকাবাসীর মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়েছে।
একুশে সংবাদ বা.প্র/ রখ