সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

তিতাসে মরিচের বাম্পার ফলন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:০৭ পিএম, ১১ মে, ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার মানুষের প্রধান ফসল হচ্ছে মরিচ। এ বছর মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ উপজেলায় এখন চলছে মরিচ তোলার মৌসুম। মাঠে মরিচ শুকানোর কাজে ব্যস্ত এলাকার নারী-পুরুষসহ শিশুরাও। এবার মরিচের বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। প্রথমে কাঁচা মরিচ বিক্রি করে ভালো দাম পেয়েছে এখন মৌসুম শেষে পাকা মরিচ শুকানো হচ্ছে। মরিচ চাষিদের মুখে এখন তৃপ্তির হাসি। টিনের চালে, বাড়ির ওঠানে, বিদ্যালয়ের ছাদে এমনকি ফসলি জমিতে লাল টুকটুকে মরিচের পসরা সাজিয়ে রেখেছে মরিচ চাষিরা।

কুমিল্লা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, তিতাসের চরাঞ্চলে এবার মরিচের উৎপাদন ভালো হওয়ার পাশাপাশি বাজারে উপযুক্ত দাম পেয়ে কয়েক হাজার চাষি এবার নিজেদের ভাগ্য বদল করে ফেলেছে। মরিচ চাষিরা জানিয়েছে, গত ৪/৫ বছর মরিচের দাম বাড়লেও ভালো ফলন পাওয়া যায়নি। এবার ভালো ফলন ও দাম পেয়ে চাষিরা কয়েক বছরের লোকসান এক মৌসুমেই পুষিয়ে নিচ্ছে।

জগৎপুর গ্রামের চাষিরা বলেন, প্রকৃতির অনুকূল পরিবেশ থাকায় মরিচ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছে। জমি থেকে দু’দফা কাঁচা মরিচ তুলে বিক্রি করে শেষ পর্যায়ে মরিচ শুকানো হচ্ছে। পুরো উপজেলা জুড়ে প্রায় প্রতিটি বাড়ির উঠানে লাল টুকটুকে মরিচ শোভা পাচ্ছে। চাষে এবার খরচ বেশি হলেও বাজার মূল্য ছিল বেশি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০০ হেক্টর জমিতে। এ এলাকায় বেলে-দোঁআশ মাটি হওয়ায় মরিচ চাষের জন্য বেশী উপযোগী। কৃষকেরা শীতকালে জমিতে অন্য কোনো শস্য না বুনে মরিচ চাষ করে।

কৃষকরা জানায়, ৩০ শতক জমি চাষ করতে তাদের প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ পড়ে। বিক্রি হয় ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তিতাস এলাকার চাষিরা এ মৌসুমে বিপদে না পড়লে মরিচ বিক্রি করে না। মরিচ শুকিয়ে ঘরে রাখলে কয়েক মাস পর আরো বেশি দাম পাওয়া যাবে। তাই কেউই পাকা মরিচ বিক্রি করতে চায় না। কড়িকান্দি বাজারের এক ব্যবসায়ী তোফাজ্জল মিয়া বলেন, মরিচ চাষ করে এখানকার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সালাহ উদ্দিন বলেন, স্বাদে অনন্য হওয়ায় তিতাসের মরিচের চাহিদা অনেক, দামও পেয়ে থাকেন ভালো। তাই নামি-দামী মসলা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নজর এ মরিচের দিকে। যার জন্য চাষিদেরকে প্রশিক্ষণ ছাড়াও কৃষি কর্মকর্তারা সবসময় মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েও সহযোগিতা করছেন।

একুশে সংবাদ/ব.স.স/রখ

কৃষি বিভাগের আরো খবর