সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

হাওরের কৃষকের মুখে হাসি, পানি কমায় স্বস্তিতে

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:০২ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২২
ছবি: একুশে সংবাদ

সুনামগঞ্জে ৩টি হাওয়ে চাষকৃত ধানে ফলন ভাল হলেও পাহাড়ী ঢল ও বৃষ্টির পানি বাধ ভেঙ্গে ঢোকায় বিপাকে পরেছিল কৃষকগণ। ধান কেটে নেওয়ার পরামর্শ ও প্রদান করে জেলা উজেলা কৃষি কর্মকর্তারা । তাই লাভ ক্ষতির হিসাব না করেই আগেভাগে সব হারানো যেয়ে কিছু পাওয়াটার আশা করে কৃষকগণ ধান কর্তন শুরু করে কৃষকগণ।  

কিছুদিন না যেতেই বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর পানি কমায় হাওরের কৃষকদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে কৃষকদের মাঝে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাওর এলাকায় নতুন কোনো বাঁধ ভাঙার খবর পাওয়া যায়নি। কৃষকরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রখর রোদে ধান শুকাচ্ছেন। কেউ বা এখনো ধান কাটছেন আবার কেউ সেই ধান নৌকায় করে গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছেন। বিক্রয় করছে। 

 স্থানীয় কৃষকরা আব্দুল জব্বার বলেনে গত দুইদিন সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। যদি সপ্তাহখানেক বৃষ্টিপাত না হয় এবং নদীর পানি না বাড়ে তাহলে সোনালী ফসল ঘরে তুলতে পারব। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বাড়াতে আমরা খুব আতংকের মধ্যে ছিলাম। এখন নদীর পানি কমায় সেই আতংক নেই।

উল্লেখ্য গত ১ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সুনামগঞ্জের ৯ উপজেলায় অন্তত ১৯টি হাওরের বাঁধ ভেঙে ফসল তলিয়ে গেছে। যদিও প্রশাসনের মতে ৫ থেকে ৬ হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। 

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ হাওর থেকে ধান কেটে আনতে সুনামগঞ্জের বাইরে থেকে শ্রমিক আনা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নির্বিঘ্নে যেন শ্রমিক আসতে পারে সেজন্য পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে সুনামগঞ্জে ১ লাখ ১১ হাজার ৭০০ হেক্টর বোরো ধান কাটা হয়েছে। 

একুশে সংবাদ/ঢাপো/এইচ আই

কৃষি বিভাগের আরো খবর