সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সরিষা ফুলে রঙিন ফসলের মাঠ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:১৫ পিএম, ১৬ জানুয়ারি, ২০২১

সরিষার ফুলের হলুদ রঙে ছেয়ে গেছে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ফসলের মাঠ। চারপাশে হলুদ ফুল আর সবুজ পাতার সমারোহে প্রকৃতি যেন সেজেছে নতুন রুপে। এ যেন ঘন কুয়াশার মাঝে কনকনে শীতে প্রকৃতি হলুদ চাদরে নিজেকে মুড়িয়ে রেখেছে। নয়নাভিরাম এ দৃশ্য চারদিকে এক আবেশি পরিবেশের সঙ্গে মাধুর্যতায় ভরে দিয়েছে সরষে ফুলের ঘ্রাণ। 

এবার তাই পলাশে সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের চোখে মুখেও আনন্দের রেখা ফুটে উঠেছে। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে ফসলের মাঠ। প্রকৃতির এক অপার লীলাভূমি নেমে এসেছে এখানে। আবাহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে এমন করছেন কৃষকরা।

পলাশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবু নাদির এস এ ছিদ্দিকী জানান, চলতি মৌসুমে ৭৮ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে যা গতবারের তুলনায় অনেক বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ মৌসুমে উৎপাদন হয়েছে প্রতি হেক্টরে ১৫০০ কেজি। 

তিনি আরো বলেন, আগে কৃষকরা স্থানীয় জাতের বীজ টরি-৭ চাষ করায় উৎপাদন অনেক কম হতো। তাই কৃষকরাও সরিষা উদপাদনে অনিহা প্রকাশ করত। কিন্তু আমরা কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল সরিষার বীজ বারি সরিষা-১৪, বারি-১৫ ও বারি-১৭ বীজ বপনের পরামর্শ দিলে কৃষকরা তা ফলন করে এখন উৎপাদন অনেক বেড়ে গেছে। 

সরিষা গাছের উচ্চতা হয় এক ফুটের মতো। আগে সরিষা গাছ বড় হলেও ফলন হতো কম। নতুন জাতের ছোট আকারের এ সরিষা গাছের গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত ফল আসছে। তাছাড়া আমরা গত তিন বৎসর যাবৎ উপজেলার প্রায় শতাধিক প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে সরিষার বীজ. সার ও কীটনাশক সরবরাহ করার ফলে উপজেলায় এখন সরিষার আবাদ অনেক বেড়ে গেছে। 

এছাড়া বীজ বপনের ৭০দিন থেকে ৮০ দিনের মধ্যে সরিষা ঘরে তুলতে পারে বলে এর উৎপাদনে কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘোড়াশাল পৌর এলাকার কৃষক নুরুল ইসলাম, চরসিন্দুরে ফারুক কাজী ও গজারিয়া নোয়াকান্দার জসিমউদ্দিন জানান, এবার তারা জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন। এ আবাদে সেচ, সার ও কীটনাশক কম লাগে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ না থাকায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। 

তাছাড়া সরিষা চাষ করে মানুষ শুধু তেলই তৈরি হয় না, এ সরিষা ভাঙ্গিয়ে খৈল ও গাছ থেকে ভুষি তৈরি হয় যা গরুর ভালো খাদ্য এবং ভালো জ্বালানী হিসাবে ব্যবহৃত হয়। অপর কৃষক হাতেম আলী জানান, আমি এ বছর লাভবান হওয়ার কারণে আগামী মৌসুমে আমাদের এলাকার অনেক কৃষক এ জাতের সরিষা আবাদের আগ্রহ দেখাচ্ছে। সরিষা চাষ অত্যন্ত লাভজনক।

একুশে সংবাদ/সা.হ/এস

কৃষি বিভাগের আরো খবর