সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

অদম্য যাত্রায় পথপ্রদর্শক ঢাকা কলেজের ১৩৩ নারী শিক্ষক

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১২:১৩ পিএম, ৯ মার্চ, ২০২১

দেশের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজ। প্রতিষ্ঠার ১৮০ বছরে সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এখনও শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করে প্রতিষ্ঠানটি। এ ধারাবাহিক সাফল্যের পেছনের কারিগর হলেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক। বর্তমানে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ২০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক রয়েছেন ২২০ জন। এর মধ্যে ১৩৩ জন নারী শিক্ষক দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। শুধুমাত্র শিক্ষক হিসেবেই নয় বরং স্নাতক, স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ১৯টি বিভাগের মধ্যে ১১টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বও সফলভাবে পালন করছেন ১১জন নারী অধ্যাপক।

এর আগেও ৬ জন নারী অধ্যক্ষ, ২ জন নারী উপাধ্যক্ষ ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক হিসেবে ৩ জন দায়িত্ব পালন করেছেন।শুধুমাত্র পাঠদান কার্যক্রমেই নয় বরং সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমের নেতৃত্বেও রয়েছেন নারী শিক্ষকরা। ঢাকা কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শামিম আরা বেগম। ঢাকা কলেজ যুব রেডক্রিসেন্টের দায়িত্বে রয়েছেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।

অধ্যাপক শামিম আরা বেগম বলেন, কখনও কোনো পিছুটান বা বাধা বিপত্তির কাছে পরাজিত না হয়ে সম্মুখে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় থেকেই এতদূর পথচলা। একজন নারী হয়ে এ ধরনের (ছেলেদের কলেজে) দায়িত্ব পালনকালে কোনো ধরনের বাধা বা বৈষম্যের শিকার হইনি। আমি মনে করি প্রতিবন্ধকতাহীন চলার পথে আমার মূল পাথেয় হচ্ছে দক্ষতা, যোগ্যতা এবং আত্মবিশ্বাসী মনোভাব।ঊ্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক শ্রাবণী ধর বলেন, আমি মনে করি একজন শিক্ষকই পারেন শিক্ষার্থীর মধ্যে নৈতিকতার মূল্যবোধ তৈরি করতে। এক্ষেত্রে নারী বা পুরুষের ভেদাভেদ নেই। আমি কখনোই আমার প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনে বাধাপ্রাপ্ত হইনি। বরং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছি।

মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আখতারা বানু বলেন, আমি যখন পিএইচডি করি অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে করতে হয়েছে। পরিবার চাকরি সব কিছুর মধ্য ভারসাম্য ঠিক রেখে করতে হয়েছে। আমি ঢাকা কলেজে প্রথম নারী বিএনসিসির প্লাটুন কমান্ডার হিসবে কাজ করি। এ জন্য দেশের বাইরে অনেক সেমিনার করেছি। সবার সহযোগিতা পেয়েছি। ডিপার্টমেন্ট ও পরিবার চালানো খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল কিন্তু আমি পরিকল্পনামাফিক কাজ করি। আমরা প্রত্যেক শিক্ষকই মাতৃত্বের স্নেহে শিক্ষার্থীদের আগলে রাখার চেষ্টা করি।


একুশে সংবাদ/হু.ক/আ
 

নারী ও শিশু বিভাগের আরো খবর