সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের পর্যটনখাত

প্রকাশিত: ০৮:৫৩ এএম, ১৫ নভেম্বর, ২০২০

কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যেও বিপর্যয় কাটিয়ে উঠছে দেশের পর্যটনখাত। চলতি শীত মৌসুমের শুরুতেই লোকে লোকারণ্য বিভিন্ন পর্যটন স্পট। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভ্রমণ পিপাসুরা বলছেন, করোনার অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে কক্সবাজারে ছুটে আসা। এতে সৈকতের হকাররা আবারো উজ্জীবিত।

সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে বাড়তি এক-দুই দিনের ছুটি পেলে এখন অনেকেই পরিবার, বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ছেন।

সীমিত আকারে পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার পরই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা। কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, সাজেক, কাপ্তাই লেক, নীলগিরি, রাতারগুল, কুয়াকাটা, সুন্দরবনসহ দেশের মূল পর্যটন আকর্ষণগুলোতে এখন লোকে লোকারণ্য। এমনকি পতেঙ্গা সৈকত, খৈয়াছড়া ঝরনা, গুলিয়াখালি সৈকত, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের মতো জায়গাগুলোতেও পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে।

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, সিলেট, মৌলভীবাজার ও বান্দরবানের অসংখ্য হোটেল-মোটেল, রিসোর্টে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো আসন ফাঁকা নেই। এই সময়ে নতুন কোনো বুকিংও নিচ্ছে না অনেক হোটেল। একই অবস্থা অভ্যন্তরীণ রুটের এয়ারলাইন্সের ক্ষেত্রেও। অনেক আগে বুকিং না দিলে আসন পাওয়া যাচ্ছে না। সবমিলিয়ে পর্যটনখাত ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।

পর্যটনখাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পর্যটকদের পছন্দের বেড়ানোর তালিকায় এক নম্বরে আছে কক্সবাজার। এরপরই রয়েছে রাঙামাটি, বান্দরবান ও সিলেটের বিভিন্ন স্পট। বেড়ানোর তালিকায় আরো আছে সুন্দরবন, কুয়াকাটা, সেন্টমার্টিন, পানামনগর প্রভৃতি। ঘুরতে যাওয়ার জন্য ঢাকার খুব কাছে গাজীপুরের বিভিন্ন রিসোর্টও এখন বেশ জনপ্রিয়।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের ভ্রমণ করতে উৎসাহিত করছে। কোভিড-১৯ পরবর্তী ভ্রমণবিধিও তৈরি করেছে সংস্থাটি। এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, করোনাকালে পর্যটন ব্যবসা সচল রাখতে একটি নীতিমালা করা হয়েছে। পর্যটনখাত যাতে ঘুরে দাঁড়ায়, সেজন্য সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এতে পর্যটক বাড়ছে।

করোনা মহামারিতে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে পর্যটনখাতের। কিন্তু এরই মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যটনখাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) প্রেসিডেন্ট মো. রাফিউজ্জামান। তিনি বলেন, দেশি পর্যটক বাড়লেও বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা এখনো আগের তুলনায় কম।

একুশে সংবাদ/ডেবা/এআরএম

পর্যটন বিভাগের আরো খবর