সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

আমিরকে দলে ফেরাতে যে বড় ভূমিকা রেখেছেন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৭:০৮ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর অবসর ভেঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আমির। ইতোমধ্যে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলে ফেলেছেন তিনি। যদিও বৃষ্টির কারণে বল করার সুযোগ পাননি আমির। যার কারণে ফেরার ম্যাচে বল করতে পারেননি আমির। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তার এই ফেরায় বড় ভূমিকা ছিল আরেক সতীর্থের। সম্প্রতি পিসিবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী এই পেসার। তিনি পাকিস্তানের সদ্য সাবেক হওয়া টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি।  

আমির তার সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট ও সতীর্থ শাহিন শাহ আফ্রিদিকে কৃতজ্ঞতা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সকল কৃতজ্ঞতা (আমাকে ফেরানোয়) পিসিবির ম্যানেজমেন্ট, শাহিনের (আফ্রিদি) প্রতি। তারা আমার ওপর আস্থা রেখে দলে ফিরিয়েছে এবং তার প্রতিদান দিতে আমি কিছুটা চাপ অনুভব করছি।’

চলতি বছরের শুরুতে আবুধাবির আইএল টি-টোয়েন্টিতে একই দলের হয়ে খেলেছিলেন আমির ও আফ্রিদি। তারই এক ফাঁকে আমিরকে জাতীয় দলে ফেরানোর চেষ্টা নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে শাহিন জানিয়েছিলেন, ‘আমি মোহাম্মদ আমিরের সঙ্গে কথা বলব, জানতে চাইব তিনি ফের পাকিস্তান জাতীয় দলে ফিরতে চান কি না। প্রায় পাঁচ বছর পর আমি তার সঙ্গে বল করছি। তার সঙ্গে বল করার অনুভূতি অসাধারণ, আমাদের জুটিও দুর্দান্ত।’

যদিও ওই অনুষ্ঠানের পর শাহিনদের সতর্ক করে বার্তা দেয় পিসিবি। অনুষ্ঠানটি সামাজিক মাধ্যমে হওয়ায় তারা ক্রিকেটারদের ‘সোশ্যাল মিডিয়া কোড’ তৈরির হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল। মনে হচ্ছিল- আমিরের দলে ফেরার পথ বুঝি আবারও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে সর্বশেষ পিএসএল আসরের পর নড়েচড়ে বসে পিসিবি। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তারা অবসর নেয়া দুই ক্রিকেটার আমির ও ইমাদ ওয়াসিমের সঙ্গে আলোচনায় বসে।

তারপরই অবসর ভেঙ্গে আন্তর্জাতিক পাক জার্সি গায়ে তোলার ঘোষণা দেন এই দুই তারকা। এরপর তারা নিউজিল্যান্ডের  বিপক্ষে চলমান পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলেও আছেন।

জাতীয় দলে ফেরার অনুভূতি জানিয়ে আমির বলেন, ‘সম্ভবত ৪ বছর পর ফিরেছি এবং যখন আপনি নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন, এটি সত্যিকারভাবে ভিন্ন অনুভূতি। মনে হচ্ছে নিজের অভিষেক সিরিজ খেলতে নেমেছি। ২০০৯ সালে প্রথম পাকিস্তানের হয়ে খেলা শুরু করি এবং ওই বছরই আমরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হই। এরপর ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠি এবং চ্যাম্পিয়ন হই আমরা। আবারও ছোট সময়ের একটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে পিসিবি আমাকে ফিরিয়েছে, সেটি হচ্ছে বিশ্বকাপ (টি-টোয়েন্টি)।’
 


একুশে সংবাদ/এস কে 

খেলাধুলা বিভাগের আরো খবর