সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

এত কম বয়সে অধিনায়ক হব ভাবতে পারিনি: আইয়ার

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:০২ পিএম, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪

আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স দল শুরুটা ভালো করলেও চেন্নাই ম্যাচ থেকে ছন্দপতন হয়েছে। গতবার চোটের জন্য দলের অধিনায়কত্ব করতে পারেননি। এবার ফের অধিনায়কের ব্যাটন হাতে রয়েছে শ্রেয়স আইয়ারের। নিজের অধিনায়কত্ব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নাইট অধিনায়ক স্বীকার করে নিচ্ছেন,এত অল্প বয়স থেকে অধিনায়ক হবেন তা ভাবতেও পারেননি।  

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কথা বলতে গিয়ে শ্রেয়স আইয়ার বলেছেন নিজেকে নিয়ে কখনই খুশি হন না তিনি। সব সময়ই চেষ্টা করেন আরও কিছু পেতে। আরও ভালো পারফরমেন্স করতে। নিজের কেরিয়ারের ওঠা-নামা নিয়েই কথা বলতে গিয়ে শ্রেয়স বলেছেন, কোনও কিছু অর্জন করার সঙ্গে সঙ্গেই পরবর্তী লক্ষ্য স্থির করে ফেলেন তিনি। একই সঙ্গে বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খানের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ-এর অভিজ্ঞতার কথাও শোনা গেছে মুম্বাইকর ব্যাটারের গলায়।

এবারের আইপিএলে তার ব্যাটে চলছে রানের খরা। কখনও রাসেল, কখনও সুনীল নারিনরা খেলে দিচ্ছে বলে কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচ জিতে যাচ্ছে। নাহলে ভেঙ্কটেশ আইয়ার, রমনদীপ সিংয়ের পাশাপাশি তার যা পারফরমেন্স, তাতে কেকেআরের কপালে দুঃখই ছিল। বিশ্বকাপ খেলার পরই চোটের জন্য বিশ্রাম নিতে হয় তাঁকে। এরপর রঞ্জির একদম শেষ লগ্নে কার্যত নির্বাচকদের ধমক খেয়ে মাঠে নামেন। বাদ পড়েন বিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও। আইপিএলে প্রথম চার ম্যাচে নাইট অধিনায়ক করেছেন মাত্র ৯১ রান।

আইপিএলের দলের অধিনায়ক হওয়া নিয়ে শ্রেয়স বলছেন, ‘কখনও ভাবতেই পারিনি এত অল্প বয়সে অধিনায়ক হতে পারব। তবে সব সময়ই নিজেকে তৈরি রেখেছিলাম কাজটার জন্য। দিল্লি দলের হয়ে আইপিএলে ২-৩ বছর নেতৃত্ব সামলাই। একটা কথা মনে রাখতাম সব সময়, অধিনায়কত্ব করতে গেলে নিজেকে আগে পারফর্ম করতে হবে। অধিনায়ক হওয়ার ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিজেকে সবার পরে রাখা। প্রথম চিন্তাই রাখতে হয় দল এবং দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে। দলের ক্রিকেটারদের মানসিক অবস্থা, তাদের সমস্যা বা সুবিধা, সব দিকেই একভাবে নজর দিতে হয়। কারোর দিন খারাপ যেতে পারে, আবার কারোর ভালো যেতে পারে। তাই তাঁদের মনের অবস্থা বুঝতে হয়’।

অধিনায়ক হওয়ার প্রধান শর্তই হচ্ছে অসম্ভব ধীরতা অর্থাৎ ধৈর্য্য, বলছেন শ্রেয়স। নাইট অধিনায়কের কথায় ,‍‍`মাঠের ভিতর অনেক সময়ই কঠিন পরিস্থিতি আসে। কিন্তু সব সময় নিজের মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করি। ধৈর্য ধরে রাখি যতটা সম্ভব। নিজের আবেগ কখনও দেখাই না। কারণ আবেগ দেখাতে গেলে সকলে দুর্বলতার জায়গা সম্পর্কে ওয়াকিবহল হয়ে যাবে। তবে আমার একটা নিজের থেকে চাহিদা আছে। সেই চাহিদা হল নতুন কিছু অর্জনের । নিজের প্রতি কোনও কিছুতেই খুশি হইনা আমি। যেখানে শেষ করি, সব  সময়ই সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন কিছু অর্জনের চেষ্টা করি। ছোটবেলা থেকেই শাহরুখ খানকে টিভিতে দেখেছি। আমার ছোটবেলার হিরো শাহরুখই। তার সঙ্গে দেখা হওয়াটা আমার কাছে বিশাল ব্যাপার‍‍`।

 

একুশে সংবাদ/এস কে

খেলাধুলা বিভাগের আরো খবর